এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ০৭:১১ পিএম
ইউক্রেনে দাপট দেখাচ্ছে ‘জেনারেল উইন্টার’, কিয়েভে ফের আছড়ে পড়ল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র
শক্তিশালি রুশ ফৌজকে রুখে দিয়েছে ইউক্রেন। হানাদার বাহিনীর দখলে থাকা বেশ কিছু এলাকা পুনরোদ্ধার করেছে তারা। কিন্তু ‘জেনারেল উইন্টার’-এর দাপটে এবার বেশ কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে জেলেনস্কি বাহিনী। প্রবল শীতে যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাদের। এহেন পরিস্থিতিতে দেশটির রাজধানী কিয়েভে পরপর আছড়ে পড়ল বেশ কয়েকটি রুশ মিসাইল। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের বলে খবর।
সিএনএন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, গোটা ইউক্রেন জুড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে নিশানা করছে পুতিন বাহিনী। পানীয় জল জোগান প্রণালীতেও হামলা করছে রুশ ফৌজ। এভাবে ইউক্রেনবাসীর মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে মস্কো। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎস্চকো বলেন, “রাজধানীর পরিকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে রুশ ফৌজ। বাসিন্দাদের এয়ার রেড শেল্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় জলের জোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” তিনি আরও জানান, বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। তবে পরিষেবা বহাল রাখতে দ্রুত কাজ করছেন ইঞ্জিনিয়াররা।
বৃহত্তর কিয়েভ প্রদেশের গভর্নর ওলেকসি কুলেবা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের (Ukraine) মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কাজ করছে। বেশ কয়েকটি রুশ মিসাইল ধ্বংস করা হয়েছে। মিকলাইভ প্রদেশের সামরিক প্রশাসক ভিতালি কিম জানিয়েছেন, লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে রাশিয়া। তবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কাজ করছে। জানা গিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। আহত অন্তত ছ’জন। ইউক্রেনীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দেশের পূর্ব ও দক্ষিণের অংশে প্রবল লড়াই চলছে। ডোনেৎস্ক অঞ্চলে প্রবল গোলবর্ষণ করছে রুশ সেনাবাহিনী।
বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধে রাশিয়ার (Russia) অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে শীত। এখন কিয়েভে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে। ফলে ঘর গরম রাখতে ও জলের পাইপগুলিকে সচল রাখতে বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেই দুর্বল জায়গাতেই আঘাত করছে রাশিয়া। এভাবে জনতার মনোবল ভাঙতে চাইছে পুতিন বাহিনী। শুধু তাই নয়, ঠান্ডায় ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার একটি পরিকল্পনাও করছে রুশ সেনা। নতুন করে সামরিক অভিযান নিয়ে জেলেনস্কিদের সতর্ক করে অনেকেই বলছে, ঠান্ডার জেরেই নেপোলিয়নকে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই হারতে হয়েছিল। একইভাবে ‘জেনারেল উইন্টার’-এর দাপটে বিপর্যস্ত হয়েছিল নাৎসি বাহিনী। তাই শীতের মরশুমে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে