এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ১১:০৪ পিএম
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেনাবাহিনীর কাছে অনুনয়-বিনয় করেছেন ইমরান, দাবি শরিফের মেয়ের
ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার (Imran) তথা তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির নেতা ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি সেনাকর্তাদের হাতে পায়ে ধরেছিলেন। মঙ্গলবার পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর কর্মী সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ (Imran)। মঙ্গলবার রাতে লাহোরে কর্মীদের সামনে ভাষণ দেন মরিয়ম।
নওয়াজ-কন্যার কথায়, “ইমরান (Imran) কিছুতেই ক্ষমতা ছাড়তে চাইছিলেন না। তিনি সেনাবাহিনীর কাছে অনুনয়-বিনয় করেছিলেন। অনাস্থা প্রস্তাবের সময় তাঁকে সাহায্য করার জন্য ইমরান (Imran) পিপিপি-র সহকারী চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারিকেও অনুরোধ করেন।”
পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পরে দীর্ঘ সময় সেনাবাহিনী ওই দেশ শাসন করেছে। এখনও পাকিস্তানের প্রশাসনে সেনাবাহিনীর প্রভাব আছে যথেষ্ট। তবে ইমরান খানের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের সময় সেনাবাহিনী কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
গত ১০ এপ্রিল ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হন। এর আগে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। ইমরানই সেদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাল সংসদ। এরপরে পাকিস্তানের নানা জায়গায় সভা করেছেন ইমরান। নওয়াজ শরিফ তাঁর মেয়েকে নির্দেশ দিয়েছেন, পাঞ্জাবে যেন নিয়মিত তাঁদের দলের সভা করা হয়। ইমরানের পালটা শক্তি প্রদর্শন করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা চালু করেছিল ইমরানের সরকার। ২০১৯ সালের নভেম্বরে লাহোর হাইকোর্ট তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে অনুমতি দেয়। তখন তিনি লন্ডনে চলে যান। পাকিস্তানের বর্তমান সরকার শরিফের জন্য নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করেছে। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, সময় হলেই ৭২ বছর বয়সী শরিফ পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করবেন।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে