এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৯:১২ পিএম
এক লাখ টাকার আনারস! বিশ্বের মহার্ঘতম এই ফল ফলতেই সময় লাগে ২-৩ বছর, জানুন বিস্তারিত
আনারস অনেকেরই অত্যন্ত পছন্দের ফল। ভিটামিন-সিতে ভরপুর আনারস ফল হিসেবে খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আইস্ক্রিম, কেক, পেস্ট্রি থেকে শুরু করে হরেক রকমের খাবার পাওয়া যায়, যেগুলি আনারসের ফ্লেভারে ভরপুর। এমনিতে দামে বেশ সস্তা এই ফল। তবে জানেন কি, এমন এক ধরনের আনারস পাওয়া যায় এই পৃথিবীতেই, যা দামের কারণে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে (World’s most expensive pineapple)!হেলিগান পাইনঅ্যাপল (Heligan Pineapple) নামে বিশেষ প্রজাতি সেই আনারসের দাম নাকি ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ টাকা!
শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই সত্যি। ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে (Cornwall) চাষ করা হয় এই বিশেষ প্রজাতির আনারস। সাধারণ এক ফলের এমন আকাশছোঁয়া দাম হওয়ার পিছনে আছে এক আশ্চর্য রহস্য। একটি হেলিগান আনারস ফলতে নাকি সময় লেগে যায় ২ থেকে ৩ বছর। সময় ছাড়াও বিপুল পরিশ্রম এবং যত্ন লাগে এই আনারস ফলাতে। সেই কারণেই সোনার মতো দামি এই ফল।
জানা গেছে, ১৮৯১ সালে প্রথমবার ব্রিটেনে আনা হয়েছিল এই আনারস। কিন্তু ব্রিটেনের ঠান্ডা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া আনারস চাষের জন্য একেবারেই উপযোগী নয়। কিন্তু হর্টিকালচারিস্টরাও বদ্ধপরিকর, ব্রিটেনের আবহাওয়াতে হেলিগান আনারস চাষ করবেনই করবেন তাঁরা। বুদ্ধি খাটিয়ে তার জন্য বিশেষ পদ্ধতিও বের করলেন বিশেষজ্ঞরা। কাঠ দিয়ে তৈরি করা হল বিশেষ আকৃতির পাত্র। তাতে মাটির সঙ্গে মেশানো হল আনারস চাষের উপযোগী সার। হিটারের সাহায্যে পাত্রের ভিতরের মাটি গরম রাখার ব্যবস্থা করা হল। তারপরেই এল সাফল্য। ব্রিটেনের মাটিতে প্রথমবার ফলন ধরল আনারসের।
সেই থেকে ওই বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্রিটেনের কর্নওয়ালের হেলিগান বাগানে চাষ করা হয় হেলিগান আনারস। বাগানের নামেই নামকরণ করা হয়েছে আনারসটির। ‘আনারস চাষ করতে অত্যন্ত পরিশ্রম এবং পরিচর্যা লাগে। সবসময় ফলগুলিকে নজরে রাখার জন্য আলাদা করে লোক নিয়োগ করতে হয়। এছাড়া সার বয়ে আনার খরচ রয়েছে। চাষের পাত্রগুলির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ রয়েছে। তাছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে একটি আনারসের দাম ১ হাজার পাউন্ডেরও বেশি হবে,’ জানিয়েছেন বাগানটির এক মুখপাত্র।
বাগানে ফলা দ্বিতীয় হেলিগান আনারসটি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে। বর্তমানে এই বাগানে চাষ হওয়া আনারসগুলি নিলামে তোলা হয়। প্রতিটি ফল গড়ে ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয় বলে জানা গেছে।
খবর দ্য ওয়ালের / এনবিএস/২০২২/একে