ঢাকা, শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪ | ১৪ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের উপর কোপ, মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ বন্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৯:১২ পিএম

সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের উপর কোপ, মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ বন্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার


সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের উপর কোপ, মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ বন্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার

সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের স্কলারশিপে কোপ বসাল মোদি সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ (Maulana Azad National Scholarship) বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এম ফিল ও ডক্টরেট করতে গেলে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ইউপিএ সরকারের সময়ে এই স্কলারশিপ চালু করা হয়েছিল। মোট পাঁচটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপ পেত। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য একাধিক প্রকল্পের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ চালিয়ে যাওয়ার কোনও দরকার নেই।

২০০৫ সালে ভারতে মুসলিম পড়ুয়াদের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য সাচার কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলিম পড়ুয়াদের অবস্থা তপশিলি জাতির থেকেও খারাপ। এই কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ মেনেই তৎকালীন ইউপিএ সরকার মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ চালু করে। মুসলিম ছাড়াও খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, পারসি, শিখ পড়ুয়াদের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এম ফিল বা পিএইচডি করতে গেলে এই স্কলারশিপ পেত।
]
বৃহস্পতিবারই এই স্কলারশিপ বন্ধের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)  বলেছেন, “উচ্চশিক্ষার সময়ে আর্থিক সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল স্কলারশিপকে সেই প্রকল্পগুলির অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়াই যায়। তাছাড়া সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক প্রকল্প রয়েছে। তাই ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকেই মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল স্কলারশিপ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গত আট বছরে সাতশো কোটিরও বেশি টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই স্কলারশিপের আওতায় থাকা পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন ধরেই টাকা পাচ্ছেন না। তারপরেই কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলেছে কংগ্রেস। দলীয় সাংসদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে বিশাল সংখ্যক পড়ুয়া সমস্যায় পড়বেন। কেন্দ্রের এই অবিচারের ফলে পড়াশোনার সুযোগ হারাবেন একাধিক পড়ুয়া। অন্যদিকে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়ারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, একদিকে সবকা বিকাশের কথা প্রচার করছে কেন্দ্র, অন্যদিকে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মৌলানা আজাদের নামাঙ্কিত স্কলারশিপ বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ তাঁকে অপমান করা।
 সংবাদ প্রতিদি/এনবিএস/২০২২/একে