ঢাকা, শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

চাপ বাড়ছে রবার্ট বঢরার? অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারিকে ভারতে প্রত্যার্পণের অনুমতি পেল ED


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ১০:০১ পিএম

চাপ বাড়ছে রবার্ট বঢরার? অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারিকে ভারতে প্রত্যার্পণের অনুমতি পেল ED

চাপ বাড়ছে রবার্ট বঢরার? অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারিকে ভারতে প্রত্যার্পণের অনুমতি পেল ED

 গত নভেম্বরে বিতর্কিত তথা পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারিকে (Sanjay Bhandari) ভারতে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছিল ইংল্যান্ডের আদালত (UK Court)। মঙ্গলবার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিব (British Home Secretary) সুয়েলা ব্রাভারম্যানও একই বিষয়ে অনুমোদন দিলেন। এর ফলে ইউপিএ জমানায় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে ৪০০ কোটি টাকা জালিয়াতিতে অভিযুক্ত সঞ্জয়কে ভারতে আনা সহজ হবে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগেভাগে সঞ্জয়ের স্বদেশে প্রত্যার্পণে চাপে পড়তে পারে কংগ্রেস। যেহেতু প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার সঙ্গে পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে।   

ইংল্যান্ডের আদালতে ভারত সরকারের তরফে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছিল ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইউপিএ (UPA) জমানায় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে চুক্তির জন্য ৪০০ কোটি টাকা বিদেশি সংস্থার কাছে পেয়েছিলেন তিনি। বিদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। দুবাইতে একাধিক সংস্থার সঙ্গে অবৈধ লেনদেন করেন বলেও অভিযোগ। লন্ডনের ওয়েস্ট মিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই বিচারপ্রক্রিয়াই চলেছে। গত নভম্বরে অভিযুক্তকে প্রত্যার্পণের অনুমতি দেয় আদালত। এবার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্রাভারম্যান সঞ্জয়কে ভারতে ফেরানোর ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া ইডির জন্য বড় জয়।

জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডে স্বরাষ্ট্র দপ্তরে পালটা আবেদনের জন্য ১২ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে। উল্লেখ্য, আদালতে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১ জুন চার্জশিট পেশ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সেখানে বলা হয়, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে অভিযুক্ত সঞ্জয় ভান্ডারি তাঁর সহযোগীদের সহায়তায় কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য বিদেশে কালো টাকা পাচার করেছিলেন। যার ফলে জাতীয় কোষাগারের বড়সড় ক্ষতি হয়েছিল।

২০২০ সালে ১৫ জুলাই ইংল্যান্ডে গ্রেপ্তার হয় সঞ্জয়কে। ১.২ মিলিয়ন ডলার জমা দিয়ে, পাসপোর্ট জমা রেখে তিনি সেবার জামিন পেয়েছিলেন। এর পর থেকে সেন্ট্রাল লন্ডনে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকছিলেন। রোজ থানায় দেখা করতে হত তাঁকে। এদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার সঙ্গে সঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও অভিযোগ। লন্ডনে সঞ্জয়ের কাছ থেকে সস্তায় বাংলো কিনেছিলেন রবার্ট, এমন দাবি ওঠে। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২৩/একে