বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান অসুস্থতা সম্পূর্ণভাবে 'স্বাভাবিক' নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি দাবি করেন, একটি 'অস্বাভাবিক পরিস্থিতির' শিকার হয়েই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
দুপুরে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত 'রূপসী বাংলা' আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দেন।
মির্জা আব্বাস তাঁর বক্তব্যে বলেন, "আমি সবসময়ই কারা কর্মকর্তাদের ব্যাপারে সতর্ক থেকেছি। কারণ, কারাগারে স্লো পয়জন দেওয়া হয়।" তিনি একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, "একবার একজন ভারতীয় সাংবাদিক ঢাকায় এসেছিলেন। যখন আমার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়, তিনি বললেন, 'আপনারা কী নিয়ে এত লাফালাফি করছেন? তিনি (খালেদা জিয়া) তো দুই বছরও বাঁচবেন না।' আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'কেন?' তিনি জবাব দিলেন, 'ওভাবেই তো ডিজাইন করা হয়েছে।' অর্থাৎ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, তিনি ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করবেন।"
তিনি আরও যোগ করেন, "আল্লাহর অশেষ রহমতে, তিনি এখনও বেঁচে আছেন। আমরা আল্লাহর কাছে তাঁর দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করছি।"
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, "গতকাল রাত একটার সময় আমি নেত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটাই। আজকে সকালে যে খবর পেয়েছি, তাতে জানা গেছে তিনি আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন। আল্লাহ তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলবেন, এই কামনা করি।"
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যারা দেশের বাইরে থেকে আজ চক্রান্ত করছে, তারাই তো বছর after বছর দেশটি দখল করে রেখেছিল। তারাই দেশটাকে প্রায় শেষ করে দিয়েছে। আজ তারা বিদেশে বসে বলছে, 'আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হবে না'। আপনারা কি বিএনপিকে ছাড়া কখনও নির্বাচন করেছেন? সুতরাং, নির্বাচন বাংলাদেশে হবেই। এই ফেব্রুয়ারি মাসেই হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন, সাবেক সভাপতি এ বি এম রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, রূপসী বাংলা-২০২৫ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক নাসিম শিকদার এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন এম হায়দার আলী (চট্টগ্রাম), দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন শামসুল হক রিপন (ঢাকা) এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন এম রাশেদ (চট্টগ্রাম)।
