ড্রেসিংরুমে ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ফোন, ডিপিএলে নেই দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা

বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোতেও অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটের (এসিইউ) সদস্য নিয়োগ দেয় আইসিসি। অর্থাৎ যেখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, সেখানেই এসিইউ সদস্য। আইসিসির এই নীতিমালা অনুসরণ করে প্রতিটি পূর্ণ সদস্য দেশের ক্রিকেট বোর্ড অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট বা দুর্নীতি দমন বিভাগ চালু করেছে।

বিসিবির এসিইউ ইউনিট চালুর এক দশক হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে এই বিভাগের কার্যক্রম সেভাবে চোখে পড়েনি এখনো পর্যন্ত। বিপিএল টুর্নামেন্ট ছাড়া বিসিবি এসিইউ কর্মকর্তাদের দৃশ্যমান উপস্থিতি চোখে পড়ে না। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ম্যাচে রাখা হয় না এসিইউ সদস্য। ফলে বহিরাগতরাও ড্রেসিংরুম পর্যন্ত যেতে পারেন।

খেলোয়াড়, কোচিং বা সাপোর্ট স্টাফদের পরিচয়পত্র নেই। ইচ্ছামতো মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন ড্রেসিংরুমের সবাই। সম্প্রতি মোহামেডানের মেহেদী হাসান মিরাজের মোবাইলে ভিডিও দেখে আম্পায়ারদের সমালোচনা করাকে কেন্দ্র করে বিসিবির এসিইউ কর্মকর্তাদের কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিপিএলের প্রথম দুই আসরে আইসিসির এসিইউ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। যে কারণে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ক্রিকেটারদের স্পট ফিক্সিং ধরা পড়ে। বিপিএলের পরের আসর থেকে নিজস্ব দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় বিসিবি। অবসরপ্রাপ্ত মেজর হুমায়ুন মোর্শেদ ছিলেন এ ইউনিটের প্রধান। তিনি চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় বিপিএলে অবসরপ্রাপ্ত আরেক মেজর রাসেল আজাদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। বিসিবির প্রক্রিয়া পছন্দ না হওয়ায় থাকেননি তিনিও।

বর্তমানে তিনজন সদস্য কাজ করছেন এসিইউ ইউনিটে। অথচ আইসিসি স্বীকৃত প্রথম শ্রেণী ক্রিকেট ম্যাচ পর্যবেক্ষণের জন্য সার্বক্ষণিক নিয়োগ দেওয়া হয় না এই ইউনিটের সদস্যদের। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, দৃশ্যমান উপস্থিতি না থাকলেও অদৃশ্য উপস্থিতি সব জায়গায় রাখা হয়। অর্থাৎ দুর্নীতি দমন বিভাগের লোক সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করে।

নাম গোপন রাখার শর্তে একজন আম্পায়ার বলেন, এসিইউ কর্মকর্তা রাখা হলে মাঠের শৃঙ্খলা ভালো থাকবে। ক্রিকেটার এবং ক্লাব কর্মকর্তারাও ভয় পাবে বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলতে। ড্রেসিংরুমের আশপাশে কেউ যেতে পারবে না। এ ছাড়া মোবাইল ব্যবহারে আন্তর্জাতিক ম্যাচের অনুশীলন হবে। এটা করা হলে ক্রিকেটার এবং দলের বাকি সদস্যদের পরিচয়পত্র (কার্ড) থাকবে। ফলে বহিরাগতদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news