অভিযোগকারীর সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিলো

অনেক দিন ধরেই নানা ঝামেলায় আছেন ব্রাজিলের ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এবং ডিফেন্ডার দানি আলভেজ। কাতারে খেলে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের সবশেষ বিশ্বকাপ। সেখান থেকে বিদায়টা সুখের হয়নি। এরপর দেশে ফিরে নিজেই সরে দাঁড়ান জাতীয় দল থেকে। তারপরও খারাপ সময় পিছু ছাটেনি এক সময়ের কঠিন এই ডিফেন্ডার। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জানুয়ারি মাস থেকে কারাগারে আছেন তিনি।

যৌন হয়রানির অভিযোগের মামলায় শুনানিতে আরেক দফা সাক্ষ্য পরিবর্তন করলেন দানি আলভেস। অবশেষে তিনি অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেন। তবে দুজনের সম্মতিতেই এমনটি হয়েছিলো বলে দাবি এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের। ডে

তার অনুরোধেই গতকাল সোমবার বার্সেলোনায় তদন্ত পরিচালনাকারী বিচারকের সামনে হাজির করা হয়।

অবশ্য আলভেসের আইনজীবীরা বলেছেন, বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আগে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন আলভেস। তিনি (আলভেস) পরিষ্কার করেছেন যে, কী ঘটেছিল তা প্রাথমিকভাবে বলেননি এবং যৌন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন। কারণ তার একমাত্র অগ্রাধিকার ছিল বৈবাহিক সম্পর্ক রক্ষা করা।

বিচারককে আলভেস বলেছেন, তার এবং অভিযোগকারীর মধ্যে তাৎক্ষণিক আগ্রহে এই ঘটনা ঘটেছিলো। বিশ্রামাগারের ভেতরে যা কিছু ঘটেছিল তা ছিলো বিনামূল্যে এবং স্বেচ্ছায়। তারা প্রেম করেছিলেন এবং (অভিযোগকারী) কোনো সময় থামতে বলেননি।

আলভেস যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনার কাম্প নউয়ের নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে স্পেনের আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। স্পেনে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে চার থেকে ১৫ বছরের জেল হতে পারে।

এনবিএস/ওডে/সি

news