সৌদি আরবের সঙ্গে যেসব চুক্তি করছেন মেসি

সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল মৌসুমে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো বেতনের প্রস্তাব দিয়েছিলো লিওনেল মেসি। ওই প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। তবে দেশটির ফুটবল ক্লাবে যোগ না দিলেও  মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে মেসির সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। কেননা, মেসি দেশটির পর্যটন খাতের দূত। সেই চুক্তিটা কত দিনের, কী পরিমাণ অর্থ পাচ্ছেন সেটা গোপনই ছিল এতদিন।

চুক্তিতে অনুযায়ী কয়েকটি বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু পোস্ট এবং পরিবার নিয়ে দেশটিতে অবকাশযাপন করতে হবে মেসিকে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সম্মানহানি করে, এমন কোনো মন্তব্যও করতে পারবেন না মেসি।

পর্যটন দূত হিসেবে তিন বছরের বেশি সময়ে আড়াই কোটি মার্কিন ডলারের মতো পাবেন মেসি, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় পৌনে ৩০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। যা আল হিলালে খেলার জন্য মেসিকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তার তুলনায় কমই। নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে আলাপে মেসির ব্যবস্থাপক দল ও সৌদি কর্তৃপক্ষের চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী সাবেক ফুটবলার ও ব্যবসায়ী রায়কো গার্সিয়া ক্যাবরেরা বলেন, মেসি বড় অঙ্কের অর্থ না চাওয়ায় আমি বিস্মিত হয়েছিলাম।

মেসি-সৌদি আরব চুক্তির উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, প্রতি বছরে কমপক্ষে পাঁচ দিন পরিবারসহ সৌদি আরবে ভ্রমণ করতে হবে। সেটা না হলে বছরে দুই বার তিনদিন করে সফর করতে হবে। এই ভ্রমণের সব খরচ দেবে সৌদি সরকার। মেসির সঙ্গে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে সর্বোচ্চ ২০ জনের খরচ বহন করবে সৌদি আরব। এর বিনিময়ে দেওয়া হবে প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বছরে ১০ বার সৌদি আরবের প্রচারণা চালাতে হবে। এটা সৌদিতে ভ্রমণ সংক্রান্ত থেকে আলাদা থাকবে। বিনিময়ে দেওয়া হবে ২০ লাখ মার্কিন ডলার। সৌদি আরবে বার্ষিক পর্যটন প্রচারণায় অংশগ্রহণের জন্য দেওয়া হবে আরও ২০ লাখ মার্কিন ডলার। দাতব্য কাজ ও সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য দেওয়া হবে ২০ লাখ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া সৌদি আরবের প্রচারণাসংক্রান্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে দেশটির অনুমোদন করা হ্যাশট্যাগের কথাও বলা হয়েছে চুক্তিতে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

 এনবিএস/ওডে/সি

news