ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্রকে নিয়ে বিপাকে বাফুফে 

বাংলাদেশের ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। সেই দল এবার প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়েছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। অবনমিত হয়েও প্রিমিয়ারে টিকে থাকার প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ক্লাবটি। অবনমন নিশ্চিত হওয়ার আগেই ফেডারেশনকে রেলিগেশনের সংখ্যা কমানোর আবদার করেছিলো মুক্তিযোদ্ধাসহ আরো তিনটি ক্লাব। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের অবনমন নিশ্চিত হওয়ায় বুধবার পুনরায় আবেদন করেছে বিশেষ বিবেচনায় তাদের লিগে রাখার জন্য।

ক্লাবটির ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রিমিয়ার লিগে জোড় সংখ্যক দল থাকার জন্য এবার দু’টির পরিবর্তে একটি রেলিগেশনের দাবি আমরা কয়েকটি ক্লাব মিলে আগেই জানিয়েছিলাম। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি ক্লাব সেটিরও বিবেচনা করার অনুরোধ থাকবে ফেডারেশনের কাছে। 

দুই মৌসুম আগে ঐতিহ্যহাবী ব্রাদার্স ইউনিয়ন প্রিমিয়ার থেকে অবনমিত হয়। করোনা সংকট নানা ইস্যুতে ব্রাদার্স ইউনিয়ন অবনমিত না করার অনুরোধ করেও রক্ষা পায়নি। ফুটবল ফেডারেশন গত কয়েক মৌসুমে রেলিগেশন নিয়ে কঠোর অবস্থানে থাকলেও এবার খানিকটা নমনীয়তা লক্ষণীয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের অবনমনের বিষয়ে বাফুফের নীতি নির্ধারকরা ভাবছেন। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জাতীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অবনমনের আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করার মন্তব্যও করেছেন ইতোমধ্যে। 

মুক্তিযোদ্ধার এমন পরিস্থিতিতে যার পরনাই ব্যথিত জাতীয় দলের বর্তমান সহকারী কোচ ও সাবেক অধিনায়ক হাসান আল মামুন, আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধায় না খেলে যদি আবাহনী-মোহামেডানে খেলতাম তাহলে অনেকেই আমাকে কিংবদন্তির কাতারেই রাখত। এত বিসর্জন দিয়ে যে ক্লাবের জন্য খেলেছি সেই ক্লাব এখন শীর্ষ স্তরে নেই এর চেয়ে কষ্টকর জিনিস আর হতে পারে না।

ক্লাবের হেড অফ অ্যাকাউন্টস লিঙ্কন বলেন, চলতি ফুটবল মৌসুমের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ৪ কোটি টাকা দিয়েছিল। ঐ টাকার অধিকাংশ গত মৌসুমের বকেয়া ছিল। তেমন চলতি মৌসুমেও আমাদের দেনা কোটি টাকার উপরে। আমাদের ক্লাবের আয়ের অন্যতম উৎস ছিল হাউজি। সেটা বন্ধ হওয়ায় নিয়মিত আয় নেই,স্পন্সরও নেই। আমাদের অনেকের বেতনই বকেয়া।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি
 

news