বাফুফেতে কোনো দুর্নীতি হয়নি: সোহাগ

গত ফেব্রুয়ারিতে আর্থিক অনিয়ম এবং মিথ্যাচারসহ ফিফার চারটি আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে সব ধরণের ফুটবল কার্যক্রম থেকে আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। পরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তদন্ত করে তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে। এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হয়েছেন সোহাগ। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি দল আবু নাঈম সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সোহাগ। তিনি বলেন, মিডিয়ায় লেখা হচ্ছে আর্থিক দুর্নীতি, কিন্তু বিষয়টি আর্থিক দুর্নীতি না। প্রথমত বাফুফে থেকে যে কেনাকাটা হয়েছে, সেটা বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে হয়নি, দ্বিতীয়ত বাফুফে পণ্য বা সেবাগুলো বুঝে পেয়েছে এবং তৃতীয়ত ফিফার নিয়ম-কানুন মেনে ক্রয় করা হয়েছে। অর্থাৎ ফিফা বা বাফুফে কেউই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু নৈতিকতার দিক থেকে ফিফা বেশকিছু প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। যে বিষয়গুলো নিয়ে এরইমধ্যে স্পোর্টসের সর্বোচ্চ আদালত দ্যা কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট-এ আপিলও করেছি। আমার আইনজীবীরা সেটা নিয়ে কাজ করছেন। এটা চলমান প্রক্রিয়া।

দুদক কেন ডেকেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের বেশকিছু কোয়ারি ছিল, তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখানে আসা। আমার দায়িত্ব দুদককে সহায়তা করা, আমি তাদের সহায়তা করছি।

চলতি বছরের মে মাসে হাইকোর্টের নির্দেশে বাফুফে সরকারের দেয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সোহাগ ছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে রয়েছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা  

এনবিএস/ওডে/সি

 

news