দশে দশ ভারত: রাজসিংহাসনে বসার অপেক্ষা

পরীক্ষার খাতায় দশে দশ নম্বর পেলে আর কিছু চাওয়ার থাকে না। শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব তার জন্য প্রস্তুত থাকে। চারিদিকে বয়ে যায় আনন্দ। হাওয়ায় ভাসতে থাকে স্তুতি। 

বিশ্বকাপে ভারত যেভাবে পারফর্ম করছে, দাপট দেখিয়েছে, প্রতিপক্ষকে নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে উঠেছে তাতে তাদের নামের পাশে দশে দশ থাকবে সেটা স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের রিপোর্ট কার্ডে একমাত্র তারাই পেয়েছে দশে দশ। 

কিন্তু রাজসিংহাসনে বসার পরীক্ষটা হচ্ছে এগার নম্বরে! শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিততে প্রয়োজন আরও এক জয়। শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে হলে আরও এক জয় চাই নীল জার্সিধারীদের। তাহলেই না পরীক্ষার খাতায় মিলবে গোল্ডেন ‘এ’ প্লাস।

নিউ জিল্যান্ডকে ৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ভারত। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ভারতের কি তাতে কিছু আসে যায়? সৌজন্যতার খাতিরে উত্তরটা হয়তো আসবে, সম্মান নিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই টিম ইন্ডিয়া ধরা ছোঁয়ার বাইরে। শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে বদ্ধপরিকর। ১২ বছর পর ফাইনালে উঠে সেই রেশ নিশ্চিতভাবেই টিকিয়ে রাখতে চাইবে রোহিত শর্মারা। 

কোন পথে হেঁটে ভারতের এই জয়ের উৎসব চলছে? কোন কোন বক্সে টিক পড়ায় ভারত এতোটা অপ্রতিরোধ্য? জানার চেষ্টায় যেসব বেরিয়ে এসেছে তা হলো-

এক: ব্যাটিংয়ে প্রথম পাঁচ জনের ফিয়ারলেস অ্যাপ্রোচ
দুই: মোহাম্মদ সামির সংযোজন
তিন: কিপিংয়ে বাজপাখি লোকেশ রাহুল
চার: ফিল্ডিং মাস্টারক্লাস
পাঁচ: গতিতে আপোষহীন, স্পিনে বিষ
ছয়: হোম অ্যাডভানটেজের পুরো ব্যবহার
সাত: রাহুল দ্রাবিড়ের ধৈর্য্য ধরে চলো নীতি
আট: দলীয় একতা।

অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি দিক সমানতালে এগিয়ে যাওয়ায় ভারত এখনও অপরাজিত। ব্যাটিংয়ের কথাই ধরা যাক, দশ ম্যাচে পাঁচ ইনিংসে প্রথমে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে ভারত। যেখানে চারটিতেই তাদের রান তিন‘শ-এর বেশি। সবচেয়ে বেশি ৪ উইকেটে ৪১০। সবচেয়ে কম ৫ উইকেটে ৩২৬। আগে ব্যাট করে কেবল একবারই ২২৯ রান করেছে। সেই ম্যাচটিও তারা জিতেছিল হেসে-খেলে বোলারদের নৈপূণ্যে। এছাড়া রান তাড়াতেও তারা অপ্রতিরোধ্য। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৪ করে জিতেছে। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই’শর বেশি রান তাড়া করেছে অনায়েসে। কোনোবারই তাদের জয় পেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি।

news