আরিফুল-আমিনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ভারতকে কাঁদিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

চলতি বছরের আগস্টে শ্রীলঙ্কার মাটিতে এশিয়া কাপে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিলো সাকিব-মুশফিকরা। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে আসর থেকে ছিটকে গেছিলো সিনিয়র টাইগাররা। তবে বড় ভাইরা যা করতে পারেনি তা করে দেখালো জুনিয়র টাইগাররা।

টানা তিন জয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের যুবারা। সেই জয়ের ধারা ধরে রেখে সেমিফাইনালে চিরপ্রাতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে জুনিয়র টাইগাররা।

শুক্রবার ফাইনালের লক্ষ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো জুনিয়র টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় ব্যাটাররা। ১৮৮ রানে অলআউট হয় তারা। এতে বাংলাদেশের যুবাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৯ রান।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি দুই টাইগার ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম। জিসান খালি হাতে ফিরলে, ৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শিবলি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি রিজওয়ানও। ১৩ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। 

এরপর টাইগার শিবিরের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। দুজনের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ফলে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় আরিফুল। ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে, এই ডান হাতি ব্যাটার ৯৪ রান করে সাজঘরে  ফিরলেও, ততক্ষণে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে শিহাব ৯ রানে আউট হলেও, আহরার আমিনের অপরাজিত ৪৪ রানে ভর করে ৪ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এতে আসরের টানা চার ম্যাচ অপরাজিত থেকে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি দুই ভারতীয় ওপেনার আদর্শ সিং ও আরশিন কুলকারনি। ২ রানে সিং এবং ১ রানে সজঘরে ফেরেন কুলকার্নি। শূন্য হাতে ফেরেন  অধিনায়ক উদয় শাহারান। শচীন ধস ১৬ রানে আউট হলে, ১৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন প্রিয়াংশু মোলিয়া। এরপর আরভেলি অবনীশ শূন্য রান আউট হলে , দলীয় ৬১ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত।

তবে মুরুগান অভিশেককে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মুশির খান। ৬১ বলে নিজের ফিফটি পূরণের পর আউট হন মুশির। কিন্তু অপর প্রান্তে থিতু হন অভিশেক। ৭৪ বলে ৬২ রানে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। পানডে (১) এবং  নামান টিউয়ারি ৬ রানে আউট হলে, ৭ ওভার ২ বল হাতে থাকতেই ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত। এতে ফাইনালে ওঠার জন্য ১৮৯ রানের লক্ষ্য পায় জুনিয়র টাইগাররা।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন মারুফ মৃধা। রোহনাত দুল্লাহ বর্সোন ও পরভেজ জীবন দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়াও এক উইকেট শিকার করেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি।

news