টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাঁচ অঘটন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এবারের মিশন শুরু হতে না হতেই বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গন এক অঘটনে সাক্ষী হয়ে থাকলো। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল পাকিস্তান নাস্তানাবুদ হয়েছে আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে এ ম্যাচকে অন্যতম অঘটন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাঁচটি অঘটন এখানে তুলে ধরা হলো।
যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান: ২০২৪
বিশ্বকাপের যুগ্ম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের আগে কখনো পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়নি। কানাডার বিপক্ষে জয়ের স্মৃতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গতকাল বৃহষ্পতিবার সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল। পাকিস্তান অবশ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারের লজ্জা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। দুই দলের এমন স্মৃতি থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বাজি ধরার কেউ ছিল না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নির্ধারিত ওভারের ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে জয় পায় স্বাগতিক দেশটি।
নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ড: ২০০৯
অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করে স্বাগতিক দল ১৬৩ রান করেছিল। সে সময়ের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হিসেবে জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ঠ ছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের ভাবনা ছিল ভিন্ন। যদিও তারা প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ছিল কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। মিডল অর্ডারে টম ডি গ্রুথ ও পিটার বোরেনের ৬০ রানের পার্টনারশিপ তাদেরকে ৪ উইকেটের নাটকীয় জয় এনে দিয়েছিল।
নেপাল-আফগানিস্তান: ২০১৪
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিষেকেই চমক দেখিয়েছিল নেপাল। হংকংকে হারিয়ে নেপাল আগেই একটা জয় পেয়েছিল। তবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ খেলোয়াড়দের নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নেপাল জয় পাবে এমনটা কল্পনারও মানুষ ছিল না। কিন্তু নেপাল সেই কল্পনাতীত ঘটনার জম্ম দিয়েছিল। মোহাম্মদ শাহজাদ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী ও আসগর আফগানকে নিয়ে গড়া দলকে ৯ রানে হারিয়ে দিয়েছিল পরশ খাড়কার দল নেপাল।
নামিবিয়া-শ্রীলঙ্কা: ২০২২
সহযোগী সদস্য নামিবিয়া। অন্যদিকে ওয়ান ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করে নামিবিয়া ১৬৩ করেছিল। পরবর্তীতে দারুণ বোলিং করেছিল আফ্রিকার দলটি। ১৯ ওভারে ১০৮ রানে থামিয়ে দিয়েছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
আফগানিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০১৬
ড্যারেন সামি, আন্দ্রে রাসেল, ডোয়াইন ব্রাভোকে নিয়ে গড়া দল ২০১৬ সালের টুর্নামেন্টে অন্যতম ফেভারিট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্যামুয়েল বদ্রির চমৎকার বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে মাত্র ১২৩ রানে আটকে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু আফগানদের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। তাদের দুই স্পিনার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী সেদিন নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। উভয়ে দুটো করে উইকেট পেয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১১৭ রানে থামতে বাধ্য করেছিল। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঠিকই তবে টুর্নামেন্টে এটা ছিল বড় অঘটন। আফগানিস্তান ওই এক জয় নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি