ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়িয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটারদের রোষানলে বাবর-রিজওয়ানরা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর চলছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এবারের আসরে সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার তারা সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও গত আসরের রানার্সআপ পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ জয় পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হারের পর সমালোচনার বাণে বিদ্ধ হচ্ছে পুরো পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তাই তো ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ধুয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা।
ভারতের ক্রীড়া বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে টুইটারে লিখেছেন, বাবর আজমের অনেকগুলো ভালো ইনিংসের সাক্ষী আমি। আজকের ৪৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংসটি সেখানে পড়ে না। এমন দুর্দান্ত উইকেটেও অদ্ভুতভাবে ওকে ছন্দহীন মনে হয়েছে।
দলের হারের পেছনেও তাই অধিনায়ককে দায়ী করে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠান লিখেন, অধিনায়ক হিসেবে খেলতে নেমেও এমন ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ৪০ বলের বেশি খেলে তোমার স্ট্রাইকরেট ১০০। এটা কোনোভাবেই দলকে সাহায্য করে না।
পাকিস্তানের জন্য এমন পারফর্ম্যান্স লজ্জাজনক উল্লেখ করে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, তারা যদি ইংল্যান্ডের মতো বড় দলের বিপক্ষে হারত তাও মানা যেত। তারা যদি লড়াই করে হারতো তাও মেনে নেয়ার মতো ছিল। কিন্তু তারা এমন দলের বিপক্ষে হারলো যারা তেমন ম্যাচই খেলেনি।
অন্যদিকে পাকিস্তানের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার টুইটারে লিখেন, সুপার ওভারই বলে দেয় পাকিস্তানের খেলার মান কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। এটা পাকিস্তানের সবচেয়ে বাজে পরাজয়। আশা করি এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে পাকিস্তান আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।
এই হারকে হতাশাজনক উল্লেখ করে সাবেক পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতার বলেন, এটা মোটেও ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় না। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে আমরা (লজ্জাজনক) ইতিহাস তৈরি করেছিলাম যেমনটা ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলাম। তিতা সত্য হলো, পাকিস্তান কখনোই জয়ের যোগ্য ছিল না। কারণ যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত ভাল খেলেছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি