টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, রিশাদের ঘূর্ণিতে শ্রীলংকার ছন্দপতন

একদিকে উইকেট নিচ্ছেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা। আরেকপ্রান্তে পাথুম নিশাঙ্কা ঝড় তুলেছিলেন। তবে মোস্তাফিজের বলে তিনি সাজঘরে ফিরলে রান তোলার গতি কমে আসে। অপরদিকে রিশাদ হোসেনের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে জোড়া শিকারে কিছুটা থমকে গেছে শ্রীলঙ্কা। ফিরেছেন নিশাঙ্কাও। এরপর নিজের শেষ ওভারে ডি সিলভাকেও ফেরান এই স্পিনার। মোস্তাফিজের সমান করে তাসকিনও ২ উইকেট শিকার করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লংকানদের সংগ্রহ ১১৭ রান।

এর আগে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লক্ষ্য লঙ্কানদের কত ছোট পুঁজিতে আটকে রাখা যায়। শুরুটাও দারুণ হয়েছিল তানজিম সাকিব প্রথম ওভারে ৫ রান দেওয়ার পর পরেরটিতে সাকিব আল হাসান দেন ৮ রান। যদিও সেই ওভারে একটি ওভার থ্রোতে চার পায় লঙ্কানরা।

তৃতীয় ওভারে আসা তাসকিনকে দুটি চারে স্বাগত জানান কুশল মেন্ডিস। এরপর তৃতীয় বলটি লেংথে ফেলেছিলেন টাইগার পেসার, যাতে তিনি (১০) দ্বিধান্বিত শট খেলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান। পরের ওভারে সাকিব আক্রমণে ফিরেই পড়েন নিশাঙ্কার তোপের মুখে। চারটি চারের বাউন্ডারিতে আসে ওভারটিতে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে সফল মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বলেই তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন কামিন্দু মেন্ডিস (৪)। তবে ঠিকই পাওয়ার প্লেতে ৫৩ রান তুলে ফেলে লঙ্কানরা।

মাঝে রিশাদ-মুস্তাফিজরা কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। তবে নিশাঙ্কা যতক্ষণ আছেন, বোলারদের স্বস্তি থাকার কথা নয়। লঙ্কান ইনিংসের অধিকাংশ রানই যে তার ব্যাটে আসছিল। নবম ওভারে ফিজের কাটার বলে তুলে মারতে গিয়ে শান্ত’র তালুবন্দী হন এই লঙ্কান ওপেনার। তার আগে ২৮ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় তিনি ৪৭ রান করেন।

ম্যাচটিতে বাংলাদেশের একাদশে জায়গা হয়নি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলি অনিক ও শেখ মেহেদীর। চোটের কারণে শরিফুল ইসলামের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা আগেই ছিল। তার পরিবর্তে একাদশে ঢুকেছেন তানজিম হাসান সাকিব, এ ছাড়া পেস আক্রমণে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। টপ অর্ডারে সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে আছেন লিটন কুমার দাসও। স্পিন বিভাগে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news