সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবলো উগান্ডা

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল উগান্ডা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে লজ্জায় ডুবেছে দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে। আজ প্রভিডেন্সে 'সি' গ্রুপের খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৯ রানে অল আউট হয়েছে। ১৩৪ রানে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করেছিল।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এটা রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। এর থেকে বেশি ব্যবধানের জয়ের কীর্তি রয়েছে শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ সালে কেনিয়াকে তারা ১৭২ রানে হারিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার করা ২৬০ রানের জবাবে কেনিয়া ৮৮ রান করেছিল।

এ জয়ের ফলে দুই ম্যাচ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট দুই ম্যাচ শেষে ৪। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান গড়ে ৪ 'সি' গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে আফগানিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় স্থানে। দুই পয়েন্ট নিয়ে উগান্ডা তৃতীয় স্থানে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন স্কোর ৩৯। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রান করেছিল নেদারল্যান্ডস। উগান্ডার অবস্থা থেকে তারা হয়তো এই লজ্জা থেকে রেহাই পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি, লজ্জা থেকে তারা রেহাই পায়নি ঠিকই, তবে একজন সঙ্গী হিসেবে উগান্ডাকে পেয়েছে। নির্ধারিত ১২ ওভারে ৩৯ রানে অল আউট হয় উগান্ডা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং তোপে উগান্ডার মাত্র একজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পারে। অন্য দশ ব্যাটার এক অঙ্কের রানে আউট হয়েছে। দুই অঙ্কে পৌঁছানো একমাত্র ব্যাটার হচ্ছেন জুমা মিয়াগি। ২০ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। 

উগান্ডার বিপক্ষে বিধ্বংসী রূপ নিয়েছিলেন আকিল হোসেন। ৪ ওভারে ১১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং এটি। 

প্রভিডেন্সে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টসে জয় পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতে তাদের রান তোলার গতি ছিল বেশ ধীর। অবশ্য জনসন চার্লসন সুযোগ পেলেই বলকে সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। ৪২ বলে ৪৪ করতে তিনি চারটি বাউন্ডারি ও দুটো ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।

রান পেয়েছেন নিকোলাস পুরান (২২), অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল (২৩)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন চতুর্থ উইকেট হারায় তখন ১৫.৩ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ১২৫ রান। কিন্তু পরের ৪.৩ ওভারে উগান্ডার বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন শেরফানে রাদারফোর্ড ও আন্দ্রে রাসেল। এ সময়ে ২৭ বলে তারা করেছেন ৪৮ রান। রাদারফোর্ড ১৬ বলে ২২ রান করেন। রাসেল ১৭ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। মূলত এই ব্যাটারের কৃতিত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান পাহাড়ে পৌঁছায়। রাসেল কোনো ওভার বাউন্ডারি মারেননি তবে তার ইনিংসে ছয়টি বাউন্ডারি ছিল।

উগান্ডার ব্রায়ান মাসাবা দুই উইকেট শিকার করেন। এছাড় আলপেশ রামজানি, কসমস কেউতা ও দিনেশ নাকরানি একটি করে উইকেট নেন।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news