দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লড়াই করে হারলো বাংলাদেশ

 টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার ১১৩ রানের ইনিংসটি নেহাতই কম। বাংলাদেশ এর আগে ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের ১২৯ রানের স্কোর টপকে ম্যাচ জিতেছিলো। 

এবার প্রোটিয়াদের এই স্বল্প পুঁজি খুব একটা আমলে নেয়নি টাইগার সেনারা। ১১৩ রানের ইনিংসের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে জয়ের সম্ভাবনাও উজ্জল করেছিলো। কিন্তু শেষ দিকে খেই হারিয়ে ফেলে টাইগার সেনারা। ফলে তীব্র লড়াইয়ের পর মাত্র ৪ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।

এদিন তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিনের বোলিং তোপে বেশিদূর এগোতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে নেমেও দারুণ খেলেছে টাইগাররা। ৭ উইকেটে ১০৯ রান করে তারা। তৌহিদ হৃদয় ৩৭, মাহমুদুল্লাহ ২০, শান্ত ১৪ ও লিটন দাস ৯ রান করেন।

ইনিংসের শুরুতে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের জুটিতে শুরুর চাপ কাটিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগুচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শেষ দিকে বোলারদের নৈপুণ্যে ৬ উইকেটে ১১৩ রানেই থেমেছে প্রোটিয়াদের ইনিংস।

সোমবার নিউইয়র্কে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন তানজিম। প্রথম ওভারে একটি করে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু ওভারের শেষ বলে কোনে রান না করা রিজা হেন্ড্রিকসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তানজিম। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই ১৮ রান করা ডি ককের স্ট্যাম্প ভাঙেন তরুণ এই পেসার।

চতুর্থ ওভারে তাসকিনের গতির কাছে পরাস্ত হন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে তার স্ট্যাম্প ভাঙেন তাসকিন। পরের ওভারে আবারও আঘাত হানেন তানজিম। কভারে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান ট্রিস্টান স্টাবসকে। পাওয়ারপ্লেতে ২৫ রানে ৪ উইকেট হারানো প্রোটিয়াদের হাল ধরেন ক্লাসেন ও মিলার।

টাইগার বোলারদের চাপ সামলে পঞ্চম উইকেটে  ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত পায়। ১৮তম ওভারে ৪৬ রান করা ক্লাসেনকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন। তবে দশম ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাস মিলারের ক্যাচ ধরতে পারলে আরও আগেই শেষ হতে পারত এই জুটি। কিন্তু ১৯তম ওভারে ২৯ রান করা মিলারকে বোল্ড করে প্রোটিয়াদের বড় সংগ্রহের পথ বন্ধ করে দেন রিশাদ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে তানজিম নেন ১৮ রানে ৩ উইকেট। তাসকিনের শিকার ১৯ রানে ২টি।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news