বিশ্বকাপ ভেন্যুতে জামালদের দুঃস্বপ্নের রাত

ম্যাচের দুই অর্ধে দু’টি করে গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। গোল করার সেই রকম সুযোগও করতে পারেনি। অথচ এই বাংলাদেশই নভেম্বরে হোম ম্যাচে লেবাননকে প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিল। শেখ মোরসালিনের গোলে সেই ম্যাচে লেবাননের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আজ অ্যাওয়ে ম্যাচে সেই বাংলাদেশ যেন উধাও। ভুল পাস, রক্ষণে ভুল মার্কিংয়ে ভরপুর ছিল ম্যাচ। এরপরও কাতারে বাংলাদেশি প্রবাসীরা পুরো সময়ই স্টেডিয়ামে জামালদের সমর্থন দিয়েছেন। 
লেবাননের অন্যতম কিংবদন্তী ফুটবলার হাসান মার্তুক। আজ তিনি বিদায়ী ম্যাচ রাঙিয়েছেন। লেবাননের চার গোলের তিনটিই তার। দ্বিতীয়ার্ধে তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার কয়েক মিনিট পরেই কোচ তাকে তুলে নেন। লেবাননের সকল খেলোয়াড় ও গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা সবাই তাকে স্যালুট জানায়। লেবাননের জার্সিতে ১২৩ ম্যাচ খেলেছেন এবং সর্বাধিক গোল স্কোরারও তিনি। বিদায়ী ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে দলকে জেতালেন। এমন রাজসিক সকল ফুটবলারের ক্যারিয়ারে ঘটে না। 

অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের একাদশ থেকে আজ দু’টি পরিবর্তন এনেছিলেন বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। একাদশে খেলানো শাকিল হোসেনের ওপর কোচ আস্থা রাখলেও তার ভুলেই বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দিয়েছেন। ৫ মিনিটেই হাসান মার্তুক পেনাল্টি থেকে গোল করেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে নাদের মাতার আরেকটি প্লেসিংয়ে ব্যবধান বাড়ান। 

দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটের মধ্যে হাসান মাতুর্ক আরও দুই গোল করেন। দু’টি গোলের পেছনে মাতুর্কের কৃত্তিত্ব যেমন রয়েছেন তেমনি দায় রয়েছে ডিফেন্ডারদেরও। 

৬০ মিনিটের মধ্যে চার গোলে পিছিয়ে। বাকি সময় শুধুই নিয়ম রক্ষার। সেই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ কোচ একাধিক পরিবর্তন এনেছেন। মোহামেডানের ফুটবলার শাহরিয়ার ইমন নামার পর কয়েক মিনিট একটু চাপে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষকে। ইমনের গতির সঙ্গে লড়তে কষ্ট হয়েছে লেবানিজ ডিফেন্ডারদের। তবে সেটি গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচে একটা সুবর্ণ সুযোগ মিস করেছেন রাকিব হোসেন। বক্সের ওপর থেকে তার নেওয়া শট পোস্টের একটু ওপর দিয়ে যায়। 

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আজ একাদশে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে যথারীতি উঠে গেছেন। চার গোলে হারা ম্যাচে অভিষেক হয়েছে কানাডা প্রবাসী ফুটবলার কাজেম শাহ’র। তিনি সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহ’র ছেলে। শেখ মোরসালিনের জায়গায় নেমে কয়েকটি আক্রমণ রচনার চেষ্টা করেছেন এই মিডফিল্ডার। 

বাংলাদেশ গত এক বছরের মধ্যে তিনবার লেবাননের মুখোমুখি হলো। তিন মোকাবিলায় আজই সবচেয়ে বাজে ফলাফল ও পারফরম্যান্স হয়েছে। লেবাননের বিপক্ষে ৪ গোল হজমের রেকর্ড আজই প্রথম নয়। ২০১১ সালে প্রাক বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লেবাননে বাংলাদেশ ৪-০ ব্যবধানেই হেরেছিল। ফিরতি লেগে ঢাকায় অবশ্য ২-০ তে জিতেছিল। সেটিই এখন পর্যন্ত এই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সুখস্মৃতি। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news