টানা তিন জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সুপার এইটে

দারুণ এক জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে 'সি' গ্রুপ থেকে সুপার এইটে খেলা নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ সকালে তারোউবোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ১৩ রানে হারিয়ে তারা টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে। তিন জয় থেকে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তারা সুপার এইটে পৌঁছেছে। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় হারে নিউজিল্যান্ডের সুপার এইটে খেলার সম্ভাবনা অনেকটা ম্লান হয়ে গেল।

নিউজিল্যান্ডের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট হাতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে। জবাবে নিউজিল্যান্ড সমান উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪৯ রানের সমৃদ্ধ স্কোর দাঁড় করাতে পারবে তা ইনিংসের মাঝপথে কোনো সমর্থক কল্পনাও করতে পারেনি। পারার কথাও না। কেননা স্কোর বোর্ডে ৩০ রান করতেই অর্ধেক উইকেট হারিয়েছিল। কিন্তু শেরফেন রাদারফোর্ড অন্য গল্প লেখেন। ব্যাটিং ঝড় তোলেন তিনি। যার সুবাদে নিউজিল্যান্ডের সামনে লড়াকু ইনিংস দাঁড় করাতে সমর্থ হয় বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল। রাদারফোর্ড ৩৯ বলে ৬৮ রান করেন। দুটো বাউন্ডারির পাশাপাশি ইনিংসে ছয়টি ওভার বাউন্ডারি ছিল।

রাদারফোর্ডের বিধ্বংসী ব্যটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ দুই ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৭ রান জমা করে। ১৯তম ওভারে তারা ১৯ রান করে। আর ২০তম বা শেষ ওভারে যোগ হয় ১৮ রান।

জবাবে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ভালো ছিল না। ৬৩ রান করতেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল। তবে গ্লেন ফিলিপসের ব্যাটিং নিউজিল্যান্ড আশাবাদী করে তুলেছিল। একের পর এক বল সীমানার পার করছিলেন তিনি। ৩৩ বলে ৪০ রান জড়ো করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। তার ব্যাটিংয়ে ম্যাচ বের হয়ে যাওয়ার একটা শঙ্কা যে রয়েছে তা ভালোভাবেই টের পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাইতো জোসেফের বলে রভম্যান পাওয়েল যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তা দেখার মতো ছিল। 

গ্লেন ফিলিপস যখন আউট হন তখন নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১০৮ রান। তখনো ৪২ রান দূরে তারা। হাতে ছিল ১৪ বল। পরের ব্যাটাররা এই কাজটি করতে পারেননি।
 
আলজারি জোসেপ ৪ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া গুদাকেশ মোতি তিন উইকেট শিকার করেন।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news