বিশ্বকাপের মধ্যেই ভাঙা হচ্ছে নিউইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়াম

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠার আগেই মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি করা হয়েছিল ৩৪ হাজার ধারণ ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপের আগেই বলা হয়েছিল খেলা শেষ হলে আবার সরিয়ে নেওয়া হবে স্টেডিয়ামটি। পূর্বে এই জায়গাটি ছিল একটি পার্ক। আবারও হবে পার্ক।

বুধবার ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ দিয়ে ইতি ঘটলো নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই ছিল এই স্টেডিয়ামের শেষ ম্যাচ। আসলে এটিকে অনেকেই বলছেন, ক্রিকেটের প্রথম মডিউলার স্টেডিয়াম। স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি স্থাপনা, যা চাইলেই স্থানান্তর করা যায়।   

ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্টেডিয়ামের পাশে প্রচুর বুলডোজার দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এ স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলার কার্যক্রম বুধবার (১২ জুন) বিকাল থেকে শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ। 

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আলোচনায় ছিল এই নাসাউ স্টেডিয়াম। মাঠের ধীরগতির পিচ, ধীরগতির আউটফিল্ড, অন্যান্য অবকাঠামো সবকিছুই মনপুত হয়নি ক্রিকেট খেলতে আসা দলগুলোর। আইসিসি তাদের আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে এই মাঠ নিয়ে জানায়, তারা যদি এই মাঠকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে তাহলে পিচগুলো এখানে থাকবে। আর নাহলে এগুলোকে ফ্লোরিডাতে নিয়ে যাওয়া হবে। 

বিশ্বকাপ উপলক্ষে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া থেকে ড্রপ ইন পিচ নিয়ে আসা হয় নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য। এখানে মেজর লিগ ক্রিকেট আয়োজনের সম্ভাবনা অনেকে দেখছিল কিন্তু এমএলসি কর্তৃপক্ষ এতে সায় দেয়নি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ স্টেডিয়ামে ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময়ে সেখানে লোকজনের অবাধ যাতায়াত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। স্টেডিয়ামের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেওয়ার পর আবার সেখানে সাধারণ মানুষ অবাধে যাতায়াত করতে পারবেন। তবে স্টেডিয়াম যেখানে বানানো হয়েছিল, সেই জায়গাটি কর্দমাক্ত, ঘাস ও বালুতে ভরপুর। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news