টেস্টে সাকিবের নেতৃত্বে আস্থা রাখছেন মাশরাফি
ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টির চেয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অনেক বেশি পিছিয়ে বাংলাদেশ। টেস্টে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে নেতৃত্ব থেকে মুমিনুলকে সড়িয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সাকিবের কাঁধে। তার নেতৃত্বে প্রথম সফরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে ২-০ তে হোয়াইটওয়াশ হলেও সাকিবের উপরই টেস্ট দলের নেতৃত্বে আস্থা রাখছেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা।
নিজ বাসভবনে সংবাদমাধ্যমকে মাশরাফি বলেন, প্রথমত টেস্ট কখনোই ভালো ছিল না। আমরা মাঝে হোমে কিছু ম্যাচ জিতেছিলাম, একটা প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাত করে আবার নিচের দিকে। টেস্টে আমরা কখনোই ধারাবাহিক ছিলাম না। যে ফরম্যাটে ধারাবাহিক সেই ফরম্যাট হল ওয়ানডে। ২০১৫ সাল থেকেই আমরা ধারাবাহিকভাবে কম বেশি ভালো খেলে এসেছি।, টেস্ট ক্রিকেটে ইতিবাচক ব্যাপার হল সাকিব বেশ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সাকিব এখন অধিনায়ক কিন্তু রাতারাতি কিছু হওয়া সম্ভব না। সাকিব কিছু কথা বলেছে যেগুলোর গভীরতা আছে। ওকে সময় দিতে হবে। আমার বিশ্বাস সময় দিলে এটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব আবার। কিছুটা সময় লাগবে।
এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ব্যবহার হওয়া ডিউক বলের ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলেন মাশরাফি। বিশ্বের সব দেশে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য কুকাবুরা ও এসজি বল ব্যবহার হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডে টেস্ট ক্রিকেট হয় ডিউজ বলে। বলের আকৃতি ও চরিত্র অন্য বলের চেয়ে ব্যতিক্রম।
টেস্টে ধারাবাহিক সফলতা পেতে সাকিব তার ব্যাখ্যায় বলেন, ঘরের মাঠে জেতা অভ্যাস করতে হবে আগে। তবেই সাফল্য আসবে। যেখানে সাকিবের সাথে একমত প্রকাশ করেন মাশরাফি।
মাশরাফি বলেন, ওয়ানডে ক্রিকেটও কিন্তু আমরা এভাবে পরিবর্তন করেছি। আমাদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল আমরা ঘরের মাঠে যতটা সম্ভব ম্যাচ জিতব, ৮০ শতাংশ ম্যাচ আমরা কীভাবে জিততে পারি। তো ওই যে বললাম, টেস্ট ক্রিকেটেও আমাদের শুরু হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলাম। ওই জায়গা থেকে একটু পিছিয়ে সমস্যা হয়ে গেছে। তবে হোমে ম্যাক্সিমাম ম্যাচ এখন আমাদের জিততে হবে।