১৯৯৭ সালের ভুলের জন্য আড়াই দশক পরে দ্রাবিড়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন ডোনাল্ড
১৯৯৭ সাল। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ে ও ভারতের মধ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজ। ডারবনে ফাইনাল ম্যাচ। মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৮ উইকেটে ২৭৮ রান। বৃষ্টির জন্য নির্ধারিত দিনে ম্যাচটি হয়নি। রিজার্ভ ডেতে ম্যাচটি খেলানো হয়েছিল। ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় ফের বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পরে ভারতের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২৫২ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভয়ঙ্কর পেস বোলিংকে দুরমুশ করছিলেন শচীন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়। রক্ষণাত্মক ব্যাটার হিসেবে পরিচিত হলেও দ্রাবিড় সেই ম্যাচে আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বলারদের কাছে। তখন দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বলার ডোনাল্ডও কটুক্তি করে বসেন রাহুল দ্রাবিড়কে।
ডোনাল্ড পরিচিত ছিলেন তার মারাত্মক গতির বল ও স্লেজিংয়ের জন্য। রাহুল দ্রাবিড়কে সেই সময় স্লেজ করে বসেন অ্যালেন। কিন্তু তারপরের বলেই বিশাল ছক্কা হাঁকান দ্রাবিড়। ভারত সেই ম্যাচ জিততে না পারলেও দ্রাবিড় ৮৪ বলে ৯৪ করেন।
সেই ম্যাচে কুটূক্তি করা নিয়ে ক্ষমা চাইলেন ডোনাল্ড। তিনি বলেন, ডারবনে একটি অস্বস্তিজনক ঘটনা ঘটেছিল যা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে সেই দিন ম্যাচের শেষে আমি দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। দেখা করতে চেয়েছিলাম। যা ঘটেছিল তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতাম। কিন্তু তা হয়নি। আমি যা বলেছি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। রাহুল একজন দারুণ মানুষ। ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের মানুষ। ওর থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। আমি ওকে অনেক সম্মান করি। আমি ওর সঙ্গে ডিনার করতে চাই। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও এই জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ডোনাল্ড।
ঘটনাচক্রে দুজন এখন আবার মুখোমুখি। তবে ২২ গজে নয়। দুজনই এখন কোচ হিসাবে নিযুক্ত। রাহুল ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ। বাংলাদেশের বোলিং কোচ ডোনাল্ড। এই মুহূর্তে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে টেস্ট সিরিজ চলছে। সেখানেই দেখা হয়েছে দুই কিংবদন্তির। দ্রাবিড়ের সঙ্গে দেখা হতেই ডোনাল্ড তার ডিনারে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান। দ্রাবিড়ও ডিনারে যেতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই আমিও রাজি, যদি ডিনারের টাকাটা ডোনাল্ড দেন।
বিএস/ওডে/সি