ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির বিকাশ ব্যাহত হতে পারে, আশঙ্কা আইএমএফের

কোভিড অতিমহামারীর ফলে গত দু’বছর ধরে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির  বিকাশ ব্যাহত হয়েছে। অতিমহামারীর তীব্রতা কমে আসার পরে যখন বাজার চাঙ্গা হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল, তখনই শুরু হল ইউক্রেনের যুদ্ধ। আইএমএফের আশঙ্কা, এর ফলে চলতি বছরেও আর্থিক বিকাশ হতে পারে ধীরগতিতে।

আইএমএফের ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ এতদিন ধরে চলার ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এর ফলে বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। আমরা সমীক্ষা করে জানতে পেরেছি, অনিশ্চয়তা যত বাড়ে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎপাদন তত কমে। আমাদের হিসাবমতো, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সারা বছরে বিকাশ কমতে পারে ০.৩৫ শতাংশ।

আইএমএফের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অতিমহামারীর ফলে গত দু’বছর বিশ্ব জুড়ে নানা পণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। বর্তমানে যুদ্ধের ফলে ফের সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। জ্বালানি এবং অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে ব্যাপক হারে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয়। তারপরে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের এক ব্যারেলের দাম ১৪০ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। এখন দাম কিছুদূর কমেছে ঠিকই কিন্তু প্রতি ব্যারেলের দাম ১০০ ডলারের ওপরেই আছে। জ্বালানির দাম বাড়ার ফলে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। জিনিসপত্রের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেজন্য প্রতিটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আর্থিক নীতি আরও কঠোর করেছে। এর ফলেও বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। আইএমএফের বক্তব্য, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে আন্তর্জাতিক অনিশ্চয়তা অভুতপূর্ব স্তরে পৌঁছেছিল। পরে তা কমে আসে। কিন্তু চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে অনিশ্চয়তা সূচক লাফিয়ে বেড়েছে।

এর আগে ২০০১ সালে নিউ ইয়র্কে জঙ্গি হানার সময় অনিশ্চয়তা ব্যাপক বেড়েছিল। এর পরে ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় অনিশ্চয়তা সূচক উঠেছিল অনেকখানি।

news