কিশোরগঞ্জে সবজি, ডিম ও মুরগীর বাজার লাগামহীন 

সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তার নাভিশ্বাস চরমে। কিশোরগঞ্জের বেশিরভাগ দোকানগুলোতে নেই মূল্য তালিকা। মূল্য তালিকা থাকলেও পণ্যের মূল্যে নেই সামঞ্জস্য। 

বাজারে কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারি নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ৩ মাস ধরে বাজার মনিটরিং টিম লাপাত্তা।

বাজারে পণ্যের চাহিদার চেয়ে আমদানি বেশি থাকার পরও বাজারের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়াও মাছ, মাংস, কাঁচা সবজির দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষগুলো। কোন পণ্যের দামে স্বস্তি নেই বলে জানিয়েছেন বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষজন।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড় বাজার, পুরান থানা বাজার ও কাঁচারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম ছিল ৩০/৪০ টাকা আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০/১৪০ টাকা। কিশোরগঞ্জে রোজার সময় ২ টাকা বেগুনের দাম থাকায়এক কৃষক রাগ অভিমানে জমির সব বেগুন গাছ কেটে পেলায় ফেইসবুকে ভাইরাল কিন্তু আজ বাজার ঘুরে দেখা গেল ৮০/১০০ বিক্রি হচ্ছে বেগুন। এছাড়াই আগে আলু ৪০ টাকা বিক্রি হলেও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০/৫৫ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি লাউ ৪০, টমেটো ৪০-৫০, বাঁধাকপি ৪০-৫০, পেঁপে, মূলা, ঢেঁড়স ও পটল ৫০-৬০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০, করলা, ঝিঙে, শস্য ও গাজর ৬০-৭০ এবং কাকরোল ও বরবটি ৯০-১শ' টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির ডিম সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। সোনালী মুরগী বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায়। দেশি মুরগি ২০- ৩০ টাকা বেড়ে ৬০০-৬২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৮০০-৮২০ এবং চাহিদা বেশি থাকায় খাসির মাংস ১,১০০-১,১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

বাজার করতে আসা ক্রেতা আলমগীর হোসেনের বলেন, আয়ের থেকে এখন ব্যয় বেশি। সবকিছুর দাম বাড়ার কারণে ব্যাগ ভরে বাজার বাড়িতে নেওয়া যায় না। মাছ কিনলে সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হয়। মাংসের দাম শুনলে তো মুখের রুচিই চলে যায়। আমাদের মতো মধ্যবিত্তের সংসার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি আলম সারোয়ার টিটু বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক মূল্য তালিকা সত্বেও অধিক দামে ডিম বিক্রি করছে। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে ডিমের দাম। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কিশোরগঞ্জের কৃষি বাজার কর্মকর্তার গাফলতির কারণে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। শহরের বাজারগুলোতে কোনো মনিটরিং হচ্ছে না। কৃষি বাজার কর্মকর্তা ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তাকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ভেজালমুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

news