গত ছয় মাসে শতাধিক তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, আর বেশ কয়েকটি বন্ধ হওয়ার পথে। তবে এর মধ্যেও রপ্তানি আয় বেড়েছে, যা অনেকের কাছে বিস্ময়কর। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে এই সংকট আরও তীব্র হতে পারে।
গাজীপুর-সাভারে বন্ধ ৬৮টি কারখানা
গাজীপুর শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৫১টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি অস্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই মিলিয়ে মোট ৬৮টি কারখানা স্থায়ী বা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কেয়া গ্রুপও মে মাসে ছয়টি কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত কঠোর নীতিমালা, উৎপাদন ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে বহু কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও কাজের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন, যা প্রায়ই সড়ক অবরোধের কারণ হচ্ছে।
ব্যাংক ও ক্রেতাদের অসহযোগিতা?
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, "এখনো অনেক কারখানা বন্ধ হবে। ব্যাংকগুলো সহায়তা না করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। পাশাপাশি ক্রেতারা অনৈতিক আচরণ করছেন—কাঁচামাল আসার পরও অর্ডার বাতিল করছেন বা বিলম্বে পেমেন্ট দিচ্ছেন।"
তবু রপ্তানির ঊর্ধ্বগতি
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পোশাক রপ্তানিতে ১৩% প্রবৃদ্ধি হয়েছে, ডিসেম্বরে যা ১৮% ছাড়িয়েছে। বড় কারখানাগুলো উৎপাদন বাড়িয়েছে, নতুন কিছু কারখানাও চালু হয়েছে, ফলে সামগ্রিক রপ্তানি আয় বেড়েছে।
বেক্সিমকো শিল্প পার্কে ১৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ
আগামী ৯ মার্চ থেকে বেক্সিমকোর বন্ধ হওয়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু হবে। সরকার এ বাবদ ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ না হলে শিল্প খাতের সংকট আরও গভীর হতে পারে।


