বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে রাশিয়ার সহযোগিতা চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু শক্তি সংস্থা **রসাটম**-এর প্রধান অ্যালেক্সি লিখাচেভের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
রূপপুর প্রকল্পে ঋণ মেয়াদ বৃদ্ধির আলোচনা
সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বাসস’ জানিয়েছে, বৈঠকে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ চায়, ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার দেওয়া ঋণের মেয়াদ বাড়ানো হোক। ইউনূস প্রকল্পটি সময়মতো শেষ করার তাগিদ দেন এবং জানান, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পরীক্ষামূলক উৎপাদনের পথে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প
রসাটমের প্রধান লিখাচেভ জানান, বর্তমানে প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। পাবনার ঈশ্বরদীতে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট নিয়ে মোট ২৪০০ মেগাওয়াটের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত
বৈঠকে ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ করতে চায়। সরকার মনে করছে, রূপপুর প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


