দিনাজপুরের ফুলবাড়ী কয়লা খনিতে ৫৭২ মিলিয়ন টন কয়লার মজুদ রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার। তবে খনিটি উন্নয়নের জন্য মূলধন ও পরিচালন ব্যয়সহ প্রাথমিকভাবে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগের হাইড্রোকার্বন ইউনিট।  

গতকাল বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের কয়লাসম্পদের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইড্রোকার্বন ইউনিটের পরিচালক (অনুসন্ধান ও উৎপাদন) ড. অরূপ কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, খনিটি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে পরিচালনা করা ছাড়া কার্যকর উপায় নেই। ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে উত্তোলন করলে পানির স্তর ফেটে খনি প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।  

তবে ফুলবাড়ীতে কয়লা উত্তোলন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। ২০০৬ সালে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনজন নিহত হন এবং শতাধিক আহত হন। সে সময় সরকার স্থানীয়দের সঙ্গে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে উত্তোলন না করার চুক্তি করেছিল। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সুপারিশগুলোতে সেই চুক্তির বিষয়টি উপেক্ষিত রয়েছে।  

সেমিনারে বলা হয়, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা হলে বছরে ১৫ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন সম্ভব, যা দেশের মোট চাহিদার ৫০% পূরণ করবে। তবে স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কায় বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।  

জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, পরবর্তী সরকার কয়লা উত্তোলন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে এই সুপারিশগুলো সহায়ক হবে।

news