বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মাঝেও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ একটি সাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানিমুখী প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে নতুন এক যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জে অবস্থিত আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ইতোমধ্যে কারখানা ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এখনো যন্ত্রপাতি আমদানি না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের (৭৩ কোটি ২০ লাখ টাকা) ক্রয়াদেশ নিশ্চিত হয়েছে। নতুন কারখানাটি আগামী এপ্রিল-মে মাস নাগাদ উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই কারখানায় গৃহস্থালি সামগ্রী, খেলনা এবং পোষা প্রাণীদের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদিত হবে।
২০০৭ সালে ভারতে গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্য পাঠানোর মাধ্যমে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করে আরএফএল। বর্তমানে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে তাদের পণ্য পৌঁছে গেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরএফএলের মহাব্যবস্থাপক (রপ্তানি) সালাহ উদ্দিন সিকদার বলেছেন, "আমরা এতদিন ইউরোপীয় বাজারে মনোযোগ দিয়েছি, এখন উত্তর আমেরিকার বিশাল বাজার ধরার পরিকল্পনা করছি।" যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের দিকে লক্ষ্য রেখে, প্রতিষ্ঠানটি চীনা প্রতিযোগীদের ছাড়িয়ে যাওয়ার কৌশল গ্রহণ করছে।
নতুন কারখানায় বছরে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে এবং এতে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, "আমরা সংকটকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেই এবং এটি আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছে। চীন থেকে সরানো অর্ডারগুলো আমরা বাংলাদেশে আনতে চাই।"


