ষষ্ঠবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন বাবু

বাংলাদেশের শক্তিমান অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ফজলুর রহমান বাবু। তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন নানামুখী চরিত্রে। যেমনি পেয়েছেন দর্শকদের ভালোবাসা, তেমনি প্রশংসাও। তার প্রাপ্তির হিসেব কষাও কঠিন। এর আগে অভিনয় দক্ষতায় শুধু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই পেয়েছেন পাঁচবার। এ বছরেরটা মিলিয়ে ষষ্ঠবারের মতো অর্জন করেছেন এই সম্মান।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ প্রদান করা হয়। এ সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত প্রযোজিত ও পরিচালিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘নোনাজলের কাব্য’ চলচ্চিত্রে প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের চরিত্রে নিখুঁত অভিনয়ের জন্য ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে’র পুরস্কার দেয়া ফজলুর রহমান বাবুকে।

এর আগে ২০০৪ সালে ‘শঙ্খনাদ’, ২০১৬ সালে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, ২০১৯ সালে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ২০১৭ সালে ‘গহীন বালুচর’ এবং ২০২০ সালে ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

১৯৬০ সালের ২২ আগস্ট ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানার পশ্চিম আলিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই গুণী শিল্পী। ১৯৭৮ সালে ফরিদপুর টাউন থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে ফরিদপুরের বৈশাখি নাট্যগোষ্ঠীতে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে আরণ্যক নাট্যগোষ্ঠীতে যোগ দেন এবং গত ৪০ বছর যাবত উক্ত দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন।  

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘শঙ্খনাদ’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘মনপুরা’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘না বলো না’, ‘আহা!’, ‘ মেইড ইন বাংলাদেশ’, ‘স্বপ্ন ডানায়’, ‘বৃত্তের বাইরে’, ‘একাত্তরের নিশান’, ‘হালদা’, ‘স্বপ্নজাল, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’, ‘ফাগুন হাওয়ায়’ প্রভৃতি।

এনবিএস/ওডে/সি

news