একসঙ্গে ফেরদৌস-শিমলা-অধরা

পদ্মাপারের মানুষসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনসংগ্রাম, পদ্মা সেতুর আগের দৃশ্যপট-বর্তমান দৃশ্যপট ও উন্নয়নচিত্র নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘দখিন দুয়ার’। বর্তমানে মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মার পাড়ে ছবিটির শুটিং চলছে। সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত এই ছবিতে একসঙ্গে দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ফেরদৌস, অভিনেত্রী সিমলা ও অধরা খানকে।

সিনেমায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনধারা তুলে ধরতে পদ্মাপারের শিবচর উপজেলাকে বেছে নিয়েছেন পরিচালক। শুটিং স্পট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে নদীপারের সিদ্দিক ফকিরের একটি বাড়িকে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই শিফটে চলছে সিনেমাটির শুটিং। এর আগে সিনেমাটির শুটিং চলে পদ্মার বুকে ফেরি, স্পিডবোটসহ নৌযানগুলোতে। দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের কিংবা নদী পারাপার হওয়া মানুষের শীতকালীন দুর্দশার চিত্র শুটিং হয়েছে।

অভিনেত্রী অধরা খান বলেন, পদ্মা সেতু পার হয়ে এখানে শুটিং করতে এসে খুব ভালো লাগছে। ভালো একটি সিনেমার শুটিং করছি। পরিচালক ডায়মন্ড ভাইও ভালো মানুষ। তার সঙ্গে কাজ করতেও ভালো লাগে।

শিমলা বলেন, অনেক দিন পর ভালো একটি সিনেমার শুটিং করছি পদ্মার পাড়ে। সিনেমাটির গল্প অনেক ভালো। আমার চরিত্রটিও খুবই পছন্দ হয়েছে। শিবচরে গত কয়েক দিন হলো আছি। এখানকার মানুষগুলো খুবই ভালো। আমরা মাটির মানুষ। আর এখানকার মাটির ঘ্রাণ খুবই সুন্দর।

ফেরদৌস বলেন, অসাধারণ লাগছে। এই প্রথম পদ্মা সেতু পার হয়ে পদ্মার পাড়ে শুটিং করতে আসলাম। আগে আমরা আরিচাঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে গিয়েছি। এ রুট দিয়ে আসাটা ছিল খুবই ভোগান্তির। যেখানে আমরা আছি, এই শিবচরকে আমার কাছে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে একটি বেস্ট উপজেলা। এত সাজানোগোছানো উপজেলা আর দেখিনি। ডায়মন্ড ভাইয়ের সঙ্গে এটা আমার তৃতীয় সিনেমা। সিনেমাটির এমনই একটা গল্প যে দখিন দুয়ার খুলে গেল। বাকিটা সিনেমা হলেও দেখা যাবে।

সিনেমাটির পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বলেন, দখিন দুয়ার সিনেমাটি আসলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কথাই বলবে। আর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কথা বলতে গেলে প্রথমেই পদ্মা সেতুর কথা আসবে, এটাই স্বাভাবিক।

এনবিএস/ওডে/সি

news