ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ৮ ছবি
প্রযোজক পরিবেশক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদুল ফিতরে ৮টি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এই ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে লিডার: আমিই বাংলাদেশ, প্রেম প্রীতির বন্ধন, পাপ, আদম, লোকাল, শত্রু, জ্বিন ও কিল হিম। সীমিত সংখ্যক সিনেমা হলে আটটি ছবির মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি চলচ্চিত্রের জন্য কি বার্তা দিচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তিত চিত্রকর্মীরা। একজন চিত্রকর্মী বলেছেন, এভাবে আত্মঘাতিমূলক সিদ্ধান্ত প্রযোজকদের জন্য সুফল বয়ে আনবে না।
কিছু কিছু শিল্পী এবং নির্মাতার লক্ষ্য থাকে ঈদে তাদের ছবিটি মুক্তি পাবে। ফল কি হবে তা নিয়ে তারা ভাবেন না। ঈদের ছবি মুক্তি নিয়ে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতাও তৈরি হচ্ছে। গুজবে শোনা যায়, কোনো কোনো পরিবেশক সিনেমা হল পাওয়ার জন্য ঘরের সঞ্চিত অর্থেও হাত দিচ্ছেন। এমনটা হওয়া উচিত নয় বলে কোনো কোনো পরিবেশক মনে করেন। দর্শকের প্রত্যাশা থাকে ঈদে বিনোদনমূলক উপভোগ্য ছবি মুক্তি পাবে। দর্শকের প্রত্যাশাপূরণই নির্মাতাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে কেউ কেউ মনে করেন।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল গত শনিবার বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ৭টির মত সিনেমা এসেছে মুক্তির জন্য। আরও কয়েকটা নতুন সিনেমা মুক্তির প্রস্তুতির কথা শুনেছি। এই সপ্তাহ গেলেই চূড়ান্ত আপডেট বলা যাবে। যেহেতু পর্যাপ্ত হল নেই একসঙ্গে এত সিনেমা মুক্তি দেওয়া তো সম্ভব না। সব পরিচালকই চায়, তাদের সিনেমা ঈদে মুক্তি দিতে। যেহেতু এখন হাতে কিছুদিন সময় আছে এরমধ্যে অনেকেই হয়তো নিজ থেকে সরে যাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সিনেপ্লেক্সসহ স্ক্রিন চালু রয়েছে ৬৫টির মত। ঈদের সময় অনেক বন্ধ হলই খুলে যায়। তাতে হলের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১২০টি। তবে যত সিনেমা এসেছে এতগুলো চালানোর মত হলতো নেই। সিনেমাগুলো একসঙ্গে এলে দর্শকও পাবেনা, ব্যবসাও করতে পারবে না।’
বাংলাদেশ সিনেমা হল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘আমি এখনো পর্যন্ত কোনো সিনেমার ট্রেলার বা কিছুই দেখিনি তাই এখনো বলতে পারছি না আমার এখানে কোনটা চালাবো। এরমধ্যে কয়েকজন পরিচালক ফোন করেছেন, কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার বসবো, দেখবো এরপর হয়তো বলতে পারবো।’
মুক্তির মিছিলে থাকা সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুক্তির মিছিলে এতগুলো সিনেমা থাকলেই তো হবে না, সব তো আর মুক্তি পাবে না। আর মুক্তি পাবে যে তেমন হলই তো নেই। আর এত সিনেমা হলেই হবে না, কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট লাগবে। পরাণ, হাওয়া সিনেমা নিয়ে যে হাইপ উঠেছে, দর্শক এসেছে তেমন কিছু হওয়ার মতোও তো দেখছি না। আর মুক্তির আগেও অনেক সময় অনেক কিছু বলা যায় না, মুক্তির তিন-চারদিন গেলে তারপর অবস্থা বোঝা যায়।’
এ প্রসঙ্গে স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমা মুক্তির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরাণ, হাওয়া সিনেমার মত আবার একটা জোয়ার আসলে ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো হতো। যেহেতু আরও কিছুদিন সময় আছে এখনই ঈদের সিনেমা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলতে পারছি না। যেহেতু আমাদের ২০ টির মত স্ক্রিন আছে তাই আগ্রহ থাকবে ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’, ‘কিল হিম’, ‘জ্বীন’, ‘পাপ’ ছবিগুলো চালানোর।’
এছাড়া কোনো কোনো পরিবেশক সিনেমা হলের পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করতে শুরু করেছেন। এমনটাই আভাস দিলেন ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ ছবির পরিচালক সোলায়মান হোসেন লেবু।
এনবিএস/ওডে/সি


