বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মমতা

সোমবার বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার রবীন্দ্র জয়ন্তীতে রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই আবহে বিকেলে রাজ্য সরকারের কবি প্রণাম অনুষ্ঠান থেকে নাম না করে ‘প্রোপ্যাগান্ডা ছবি’ ও অমিত শাহের পুরনো মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করলেন মমতা ধনধান্য স্টেডিয়ামে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের প্রয়োজনে অনেককে পাঁচ টাকায় কেনা যায়।’

অনেকের মতে, বলিউডের অনেকে অভিনেতা, পরিচালকের বিরুদ্ধে যখন গেরুয়া শিবিরের কাছে মেরুদণ্ড বিকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তখন মমতা এদিন বোঝাতে যান, পাঁচ টাকা দিয়ে কাউকে কাউকে কিনে নেওয়া হচ্ছে। আর তাঁরাই বিজেপির কল্কেতে তামাক খেয়ে সিনেমা নির্মাণ করে মেরুকরণ, বিভাজনের বিষ ঢালছে।

মমতা এদিন আরও বলেন, নির্বাচনের প্রয়োজনে শান্তিনিকেতনকে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বলা যায়। বিদ্যাসগরের মূর্তি ভাঙা যায়। টেলিপ্রম্পটারে লিখে এনে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। একুশের ভোটের সময়ে শান্তি নিকেতনে গিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, কবিগুরুর জন্মস্থানে আসতে পেরে আমি ধন্য হয়ে গিয়েছি। তা নিয়ে কম মস্করা হয়নি। এদিন তা নিয়েই কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

২৫ বৈশাখ সকালে রবিঠাকুরের জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। যাকে তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যেই শিক্ষালাভ বলে বিদ্রুপ করেছে। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, অমিত শাহ এই শিক্ষালাভ করলেন যে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান শান্তিনিকেতন নয়। জোড়াসাঁকো।

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এসব কথা বললে লোকেও হাসবে। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ১৯৪১ সালে প্রয়াত হওয়া রবীন্দ্রনাথকে বাঁচিয়ে তুলে ১৯৪৭-এ গান্ধীজির অনশন মঞ্চে পাঠিয়েছিলেন। রাকেশ শর্মার বদলে তারাতলার মিটিং থেকে রাকেশ রোশনকে চাঁদে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সবাই কি ভুলে গেছে নাকি?’

অনেকের মতে, মমতা এদিন বোঝাতে চেয়েছেন অমিত শাহদের এইসব রবীন্দ্র প্রীতি আসলে ভোটের দিকে তাকিয়ে। তাঁরা কেউ হৃদয় দিয়ে বিশ্বকবিকে অনুভব করেননি। সবটাই মেকি। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে বৃহত্তর আঙ্গিকে ফের সেই ‘বাংলা-বাঙালি’ অস্ত্রেই শান দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এনবিএস/ওডে/সি

news