সুবর্ণা চাইলেন ক্ষমা, আসাদ করলেন স্মৃতিচারণ

 সোমবার রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে মারা যান কালজয়ী সিনেমা ‘ঘুড্ডি’র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। এই পরিচালকের ‘ঘুড্ডি’ ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুবর্ণা মুস্তাফা। এই তিনজনই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার ও একুশে পদকসহ একাধিক পুরষ্কার পেয়েছেন। ১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুবর্ণার। প্রিয় নির্মাতার মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন এই অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে করেছেন স্মৃতিচারন, চেয়েছেন ক্ষমা।

ফেসবুকে সুবর্ণা মুস্তাফা লেখেন, ‘১৩ তারিখ রাতেও কথা হলো। বুঝিনি এটাই শেষ বার! ক্ষমা করে দিয়েন জাকী ভাই, কিছুই করা হয়নি আপনার জন্য। আমি কেবল গ্রহণই করেছি আপনার আদর, আপনার ভালোবাসা, শিক্ষা। আবার অভিভাবক শূন্য হলাম আমরা। অনেক ভালোবাসি আপনাকে। শান্তিতে ঘুমান আপনি। পরম শ্রদ্ধা।’  

পাঁচ দশকের সতীর্থকে হারিয়ে বিপর্যস্ত ‘ঘুড্ডি’ সিনেমার অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। নির্মাতার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমি ভাষাহীন, স্তব্ধ, কিছুই বলতে পারছি না। জাকী ভাই নেই এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমি প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে ভাষাহীন হয়ে গেছি। জাকী ভাইয়ের জন্যই আমি অভিনেতা হয়েছি। আমার তো অভিনয়ই করার কথা ছিল না। সবকিছু সম্ভব হয়েছে জাকী ভাইয়ের জন্য। তিনি আমাকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে নিয়েছেন। তার জন্যই আমাকে অভিনয় করতে হয়েছে।’

রাইসুল ইসলাম আসাদ আরো বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরিচয়ও মুক্তিযুদ্ধের সময়টায়। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সাল থেকে আমরা একসাথে, ঢাকা থিয়েটারের হয়ে বছরের পর বছর পার করেছি। ঢাকা থিয়েটার করতে গিয়ে তাকে চিনেছি, বুঝেছি, তার কাছ থেকে শিখেছি।’

এই অভিনেতার মতে তার ক্যারিয়ারের সেরা ছবি হচ্ছে ‘ঘুড্ডি’। তিনি বলেন,‘তার অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র ঘুড্ডি, যা একটি অনন্য চলচ্চিত্র। ঘুড্ডিতে আমি ও সুবর্ণা মুস্তাফা একসাথে অভিনয় করি। সিনেমাটি সুপার হিট করে। কিন্তু অভিনয় ছাড়াও আমি তার সাথে সহকারি হিসেবে কাজ করেছি অনেকদিন। অভিনয় না করলেও তার সহকারি হিসেবে থাকা হত।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news