২৩ এপ্রিলকে চলচ্চিত্রের ‘কালো দিবস’ ঘোষণা

সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণের দিন এফডিসিতে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন কয়েকজন শিল্পী। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। গত তিনদিন ধরে এই ইস্যু নিয়ে বিনোদন পাড়ায় উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর সংবাদ সম্মেলন করে সবার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইতে এসেও সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ান সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী। 

সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকেরা। পাশাপাশি প্রতিবছর ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, ‘শিল্পী সমিতি যদি তাকে কোনো কার্যক্রমে রাখে, আমরা শিল্পী সমিতিকেও বয়কট করব। জয় চৌধুরীকে নিয়ে কোনো পরিচালক-প্রযোজক সিনেমা বানান, সেটার প্রচার পাবেন না; এটা আমরা ঘোষণা দিলাম। 

পাশাপাশি চলচ্চিত্রের এতগুলো মানুষ থাকা সত্ত্বেও জয় চৌধুরীকে থামাতে পারলেন না, তার মানে তারা ব্যর্থ। এ কারণে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করা হবে। আমরা এটা প্রত্যেক বছর পালন করব। এমনকি ওই দিন কোনো সিনেমার মুক্তির দিন থাকলেও আমরা প্রচার করব না।’

শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তসহ অন্যরা এক মাসের জন্য বহিষ্কার থাকবেন। এর আগে এফডিসির ঘটনার তদন্তে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিনোদন সাংবাদিকদের প্রতিনিধিরাও। 

সাংবাদিকেরা বলেন, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারও কথা মানতে নারাজ। অন্যদের দায়দায়িত্ব নিচ্ছেন। সে কারণেই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের এই সিদ্ধান্ত।

 উল্লেখ্য, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগবিতন্ডা হয়। এরপর সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news