সুমির কারণে ‘লালন’ ছাড়লেন তিতি!

ব্যান্ডে ভাঙা গড়ার খেলা নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝেই এমন দৃশ্য দেখা যায়। এবার লালন ব্যান্ডে ধরেছে ভাঙন। ব্যান্ডটির দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি দলত্যাগ করেছেন।

গত ৯ মার্চ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কনসার্টে লালনের কনসার্ট ছিল। এটিই ছিল ব্যান্ডটির সঙ্গে তার শেষবারের মতো মঞ্চে ওঠা। এ কনসার্ট শেষে সামাজিক মাধ্যমে এ ড্রামার ‘লেফট জব’ স্ট্যাটাস দেন।

এ প্রসঙ্গে তিতি বলেন, লালন ব্যান্ডের জনপ্রিয়তার কারণে কণ্ঠশিল্পী সুমি যতটা পরিচিতি পেয়েছেন, সে তুলনায় বাকি সদস্যরা অনেকটা আড়ালে থেকে গেছেন। ফলে কনসার্ট আয়োজকদের কাছে লালন ব্যান্ডের চেয়ে সুমির গুরুত্ব বেশি। বেশির ভাগ সময়ই কনসার্টে একা সুমিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ব্যান্ড ফেলে সুমিও সেগুলোতে অংশ নিতে পারেন না। এতে কওে সে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।’

এই ড্রামার আরো বলেন, ‘অনেকের মতো ব্যান্ডকে ব্যবহার করে ব্যবসা, বাণিজ্য, প্রতিষ্ঠানও করতে পারেননি সুমি। ও যত বড় শিল্পী, সে তুলনায় তাঁর আর্থিক সফলতা আসেনি। এটা ব্যান্ডের প্রতি ভালোবাসার কারণেই। দেশ-বিদেশের যেকোনো অনুষ্ঠানে সবাই সুমিকে খোঁজে, ব্যান্ডকে নয়। কারণ, ব্যান্ডকে নিলে অনেক খরচ। কিন্তু সুমি একা কোথাও যাননি। বিষয়টি আমি নিজে থেকে বুঝতে পেরেছি। আমি চাই না, ব্যান্ডের কারণে তার সফলতা আটকে থাকুক। এ বিষয়গুলো দলের প্রধান হিসেবে পীড়া দিচ্ছিল। তাই ব্যান্ড ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত।’
সুমির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগও রয়েছে তিতির। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতেন সুমি। তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করত দলের প্র্যাকটিস ও কনসার্ট। কিছু সময় প্রিয় জিনিস ছেড়ে আসতে হয়। আমি লালন ব্যান্ড ও সুমিকে সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে গেছি। খারাপ সময়ে ফেলে যাইনি।’

তবে এ প্রসঙ্গে সুমির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাকে ফোন করলে রিসিভ করেননি তিনি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news