আমি কখনো বড় কিছু চাই না: পূর্ণিমা
ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমা। নব্বই দশক থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত ভক্তদের মাঝে অভিনেত্রীর দর্শকপ্রিয়তায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি। তার লাস্যময়ী রূপে যেন বুঁদ হয়ে আছেন সবাই। ১১ জুলাই তার জন্মদিন। তবে দিনটি ঘিরে বাড়তি কোনো পরিকল্পনা নেই অভিনেত্রীর।
এক সাক্ষাৎকারে পূর্ণিমা বলেন, ‘এবারের জন্মদিনটা খুব সাদামাটাভাবেই কাটবে। কারণ, কয়েক দিন ধরে আমার একমাত্র সন্তান আরশিয়া উমাইজা জ্বরে ভুগছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এমনিতেই জন্মদিন বা অন্যান্য বিশেষ দিন আমাকে খুব একটা টানে না। তারপরও মেয়েটা বড় হওয়ার পর থেকে নানানভাবে আমাকে সারপ্রাইজ দেয়। ওর ছোট ছোট সারপ্রাইজ আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। এবার উমাইজা অসুস্থ থাকার কারণে কোনো কিছু ভালো লাগছে না।’
কিছুদিন আগেই (২৩ জুন) ছিল পূর্ণিমার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের জন্মদিন। দিনটি ঘটা করে পালন করেছিলেন পূর্ণিমা। কেক কাটা, স্বামীকে উপহার দেওয়া, এমনকি ঘুরতেও বের হয়েছিলেন দুজন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে স্বামীকে নিয়ে লিখেছিলেন, আমার সমস্ত অপরাধের সঙ্গী ও জীবনের ভালোবাসাকে শুভ জন্মদিন। তুমি আমার জীবনকে ভালোবাসা, হাসি ও আনন্দ দিয়ে পূর্ণ করেছো। একসঙ্গে আরো অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার করতে চাই।
নিশ্চয়ই স্ত্রীর জন্মদিন নিয়ে রবিনেরও কোনো পরিকল্পনা আছে! তবে গতকাল পর্যন্ত সেটি জানতে পারেননি পূর্ণিমা। বলেন, ‘হয়তো আমাকে চমকে দেবে! এখনই তো কিছু বলবে না। সত্যি বলতে, আমি কখনো বড় কোনো কিছু চাই না। ছোট ছোট ভালোবাসা, খুনসুটি আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। রবিনকে আগেই বলেছি, কিছু লাগবে না। সারা জীবন পাশে থাকলেই চলবে।’
১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমায় রিয়াজের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় পূর্ণিমার। এ পর্যন্ত তার অভিনীত ৮০টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলোনা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পূর্ণিমা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’।