দ্বিতীয় পার্টেই শেষ হচ্ছে না তুফান, আসবে তৃতীয় কিস্তি!

শিরোনামটা চমকানোর মতোই! ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একটি সিনেমার ৩টা সিক্যুয়েল নির্মাণ হয়েছে, এমন ঘটনা নেই বললেই চলে। বড়জোর দ্বিতীয় কিস্তি এসেছে। তবে শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমার দুইটি নয় তিনটি কিস্তি নির্মাণের পরিকল্পনা করে রেখেছেন নির্মাতা রায়হান রাফী। 

সাধারণত বলিউড কিংবা দক্ষিণী সিনেমায় দেখা যায়, কোনো সিনেমার সাফল্যের পর দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় কিস্তি নির্মাণের গল্প। তবে ঢালিউডেও ঠিক একই চিত্র দেখা যেতে পারে তুফানের হাত ধরে। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন কিছুই জানালেন ‘তুফান’ সিনেমার নির্মাতা রায়হান রাফী। এই পরিচালক জানিয়েছেন, দুইটি সিক্যুয়েল নয়, তুফানের ৩টি সিক্যুয়েল নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে। 

রাফী বলেন, ‘ইন্টারেস্টিং বিষয়, ভারতে তুফানের সেন্সরের সময় সেন্সর বোর্ডের কর্তারা জানতে চেয়েছিলেন কবে সিক্যুয়েল আসবে। আমাদের দুটো নয়, তিনটা সিক্যুয়েলের পরিকল্পনা। তাই জানিয়েছিলাম, খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পর্বের ঘোষণা করব।’

এই নির্মাতা বলেন, ‘তুফান’ বড় বাজেটের ছবি। বাংলাদেশে ১০-১৫ দিনের মধ্যে খরচের টাকা আমরা ফিরে পেয়েছি। অসাধারণ ঘটনা। তার মানে, বাণিজ্যিক ছবির চাহিদা এখনও রয়েছে। আবার দেখুন, বলিউডের অনেক ছবি কিন্তু বাংলাদেশে ব্যবসা করতে পারছে না। এপারে ‘হাওয়া’র পর ‘সুড়ঙ্গ’-এর ক্ষেত্রে একটু ভাল ব্যবসা করেছি। ‘তুফান’-এ সেটা আরও ভালো হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আগামী দিনে বাংলাদেশের ছবি পশ্চিমবঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক দর্শককে আকর্ষণ করবে। একদিনে তো নজির তৈরি হয় না! ছোট ছোট পদক্ষেপে একদিন সাফল্য আসবেই।

রাফি বলেন, ‘সিনেমা হিট করলে পরিচালকেরা অনেক সময়েই এক ধরনের ছবি তৈরি করতে চান। আমি আমার ক্যারিয়ারে সেটা করিনি। নিজেকে ফর্মুলায় বেঁধে রাখতে চাই না। একটা ছবি ব্লকবাস্টার হলে শুধু ছবির সঙ্গে জড়িত মানুষরা নন, সিনেমা হল থেকে শুরু করে বাইরের খাবার বিক্রেতারাও লাভবান হন। দর্শক বাংলা ছবির পাশে থাকুন, এটাই চাই।’

এর আগে রায়হান রাফী জানান, তুফানের সিক্যুয়েল আসবে আগামী বছরের মাঝামাঝিতে এবং সেটা যেকোনো একটি ঈদকে কেন্দ্র করে।

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন তো প্রচণ্ড গরম, আবার সবকিছু মিলিয়ে মানুষের অনেক দুঃখ-কষ্ট, দুর্ঘটনা যাচ্ছে। অনেক রকম সমস্যা আমাদের জীবনে। ঈদে আমরা একটু আনন্দ-ফুর্তি করতে চাই, সেখানে গিয়ে যদি আবার একটা সমস্যা দেখানো শুরু করি, আমার কাছে মনে হয়েছে যে-না, আমি একটু আনন্দ দিতে চাই মানুষকে। এক্ষেত্রে আমার মনে হয় আমরা সফল। আপনি যাবেন হলে, আড়াই ঘণ্টা আনন্দ-ফুর্তি করবেন, এবং এমন একটা জায়গায় গিয়ে সিনেমাটা শেষ হবে, এটাকে মাথায় নিয়ে আপনি ফিরে আসবেন এবং আপনাকে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে এর সেকেন্ড পার্ট দেখার জন্য।’

এই নির্মাতা বলেন, ‘আমরা যেটা করতে চেয়েছিলাম, ঠিক সেটাই হয়েছে প্রকৃতপক্ষে। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন, এই সিনেমা (তুফান) নিয়ে শুরু থেকেই আমি বলছিলাম- আমরা একটা কমার্শিয়াল সিনেমা বানাচ্ছি এবং ‘কেজিএফ’ বা ‘পুষ্পা’ যে মাপের কমার্শিয়াল সিনেমা সেটাকে ছুঁতে চাই। কিন্তু সেটা তো আর ধরতে পারব না তাদের মতো, তবে কাছাকাছি যেতে চাই। দর্শকরা আসলে সেটাই বলছে যে, আমরা সেটা করতে পেরেছি।’

news