কাজ হচ্ছে না তারকাদের প্রচারণায়ও
সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে বানভাসি মানুষের আর্তনাদের প্রতিধ্বনি যখন গোটা জাতির উপর আছড়ে পড়ছে, তখন বন্যাকে এদেশের স্বাভাবিক দুর্যোগ ধরে নিয়েই কিছু চিত্রতারকারা দেশের বিভিন্ন সিনেমা হলে দর্শক আকৃষ্ট করার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে। ১৭ জুন মুক্তি পেয়েছে দুটি ছবি। সৈকত নাসির পরিচালিত ‘তালাশ’ এবং অনন্য মামুন পরিচালিত ‘অমানুষ’ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপরীতে কেমন ব্যবসা করছে, কত দর্শক সিনেমা হলে বিনোদন উপভোগের জন্য আসছেন, তা নিয়ে অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে।
একজন গণমাধ্যমকর্মী বগুড়া মধুবন সিনেমা হলে ফোন করে জেনেছেন, যেদিন তালাশ টিম সেখানে গিয়েছিল সেদিন কিছু দর্শক সিনেমা হলে এলেও হাউজফুল হয়নি। অমানুষ ছবির টিমও বিভিন্নভাবে ছবিটির প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন। তারাও সিনেমা হলে গিয়েছেন। কিন্তু দর্শক যখন সিনেমা হলে আসতে শুরু করে বা যে ছবি দর্শক আকর্ষণ করতে পারে সে ছবিতে দর্শক সিনেমা হলে টানার জন্য তারকা উপস্থিতির প্রয়োজন হয় না।
ঢাকার চিত্রামহল দর্শক উপস্থিতি বিবেচনা করার মানদণ্ড নয় বলে উল্লেখ করেন একজন নির্মাতা। তিনি বলেন, এই সিনেমা হলটিতে যে কোনো ছবি মুক্তি দিলেই প্রথম দিন হাউজফুল হয়।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রদর্শক জানান, তালাশ থেকে অমানুষ ছবিটি একটু এগিয়ে আছে। তবে এমন এগিয়ে থাকাটা তেমন একটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়। দুটি ছবিই উনিশ-বিশ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষ যে সিনেমা হলে আসছেন সেজন্য চিত্রকর্মীদের দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। এ দুটি ছবিকে ঘিরে অনেক তারকারই অনেক স্বপ্ন আছে।
তালাশ ছবির আদর আজাদ বলেছেন, ‘এটা আমার মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবি। ছবিটি দর্শক যদি দেখে তাহলে আমার ক্যারিয়ারটা এগুবে।’ শবনম বুবলীও ছবিটি দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
পক্ষান্তরে অমানুষ ছবির প্রচারণায় সারাক্ষণই সক্রিয় ছিলেন নায়ক নিরব। তার সঙ্গে থেকেছেন নায়িকা কাজী নওশাবা। তিনি বলেন, ‘এই ছবিটির উপর নির্ভর করে আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার। এ ছবিতে আমি মনোমত একটি চরিত্রে কাজ করেছি।’ কিন্তু অমানুষ ও তালাশ মুক্তি পেয়েছে বৈরী পরিস্থিতিতে। এই পরিস্থিতিতে কাজী নওশাবার ইচ্ছাপূরণ হবে কিনা এটাই দেখার বিষয়।