অনেকেই পদ হারাচ্ছেন শিল্পী সমিতির

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, তারা নানা অজুহাতে সমিতির মিটিংয়ে উপস্থিত হচ্ছেন না। তাদের উদ্দেশ্য বর্তমান কমিটিকে অসহযোগিতা করা। এমনটাই বললেন কমিটির একজন সদস্য। সাধারণ সম্পাদকের পদটি নিয়ে মামলা চলছে। আদালতেই মীমাংসা হবে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারের বসার জন্য কে বৈধ। কিন্তু শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে কেউ যদি কারণ দর্শানো ছাড়া পরপর তিন মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তিনি নির্বাহী পরিষদে থাকার যোগ্যতা হারাবেন। 

তারপরও শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি মিটিংয়ে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকা সদস্যদের কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ জবাবে বর্তমান কমিটিকে অবৈধ বলেছেন। নির্বাচিত কমিটি কিভাবে অবৈধ হতে পারে ঠিক বুঝা যাচ্ছে না। সাধারণ সম্পাদকের পদটি নিয়ে মামলা চলছে। সেটিকে কিভাবে অবৈধ বলা যেতে পারে। মামলা হওয়ার পর জায়েদ খানকেও বৈধ বলা যায় না। বৈধ হবে সেই আদালত যাকে বলবে। শিল্পী সমিতি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো চিঠির জবাব কি পেয়েছেন বা কারা জবাব দিয়েছেন বা কারা জবাব দেননি তা নিয়ে মিটিং হবে ২৩ জুন। সেদিন হয়তো অনেকেরই পদ থাকবে না। 

তাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন নতুন কেউ। কিন্তু যারা কারণ দর্শানো ছাড়া মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেননি, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সমিতির সভাপতি। কিন্তু যারা ভোট নিয়ে সমিতির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি, তারা প্রকারান্তরে ভোটারদের অপমানই করেছেন। একজন ভোটার বলেন, এসব হিংসুটে ও দলবাজ শিল্পীদের সমিতিতে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। এতে সাধারণ ও নিরীহ শিল্পীদের প্রতি সম্মান দেখানো হবে। মিশা-জায়েদ কমিটি প্রায় ১৮০ জন শিল্পীর ভোটাধিকার হরণ করেছিল। বর্তমান কমিটি সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।    

news