বাবা সিদ্দিকের হত্যার পর সালমান খানের নিরাপত্তা নিয়ে নানান কথা উড়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনার পর ভাইজানের পরিবার দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। সম্প্রতি এ নিয়ে সালমানের ভাই আরবাজ খান কথা বলেছেন।
গত শনিবার দশেরার রাতে এনসিপি নেতা (অজিত পাওয়ারের দল) এবং সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে কয়েকজন আততায়ী গুলি করে হত্যা করেছিল। এই হত্যার দায় নিয়েছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। আর এই লরেন্স বিষ্ণোই সালমানকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন। বাবা সিদ্দিকের সঙ্গে শুধু সালমান নন, তাঁর গোটা পরিবারের দারুণ সম্পর্ক ছিল। পুলিশের অনুমান যে বাবা সিদ্দিককে হত্যা করা মানে পরোক্ষভাবে সালমানকে হুমকি দেওয়া। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ভাইজানকে বার্তা দিতে চেয়েছে যে তাঁর জীবনও সুরক্ষিত নয়।
বাবা সিদ্দিকের মৃত্যু, আবার আলোচনায় বলিউড ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের সম্পর্ক
আর তারা জানিয়েছে যে সালমানের সঙ্গে বন্ধুত্বের দাম চোকাতে হয়েছে বাবা সিদ্দিককে। আর তাই সালমানের ভক্তরা তাঁদের প্রিয় তারকার সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। ভাইজানের পরিবারও উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। পুলিশ, প্রশাসন, ভাইজানের পরিবার তাঁর সুরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
সম্প্রতি জুম চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকারে আরবাজ খান সালমানের সুরক্ষার বিষয়ে কথা বলেছেন।
প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন এই বলিউড তারকারা
এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘আমরা সবাই ঠিকই আছি। তবে বলতে পারি না যে আমরা পুরোপুরি ভালো আছি। কারণ, আমার পরিবার অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বাড়ির সবাই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমাদের পক্ষে যতটা ভালো করা সম্ভব, আমরা তারই চেষ্টা করছি। সরকার, পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করা সম্ভব, তারা তা–ই করছে। সবাই সবার সেরাটা দিয়ে সালমানকে সুরক্ষিত রাখছে। আমাদের যা যা করণীয়, আমরা তা তা করছি। আমরা সবাই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছি যে সালমান সব দিক থেকে সুরক্ষিত।’
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণকায় হরিণ হত্যা মামলার সঙ্গে সালমানের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল। এর পর থেকে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং তাঁর দল ভাইজানকে ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলেছে। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় সালমানের গ্ল্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে দুজন আততায়ী কয়েকটি গুলি ছুঁড়েছিল।
এই বলিউড সুপারস্টারের বাবা তথা লেখক সেলিম খানকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। বাবা সিদ্দিকের হত্যার পর সালমানের বাসার বাইরে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।