৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে সাইমন-মাহির ‘লাইভ’
শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন শামীম আহমেদ রনি। এই উপলক্ষে বুধবার স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন সাইমন-রনি। এ সময় ছবিটির শিল্পী সাইমন সাদিক, মাহিয়া মাহি, আদর আজাদ, ছবির পরিচালক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও কার্যত সাধারণ সম্পাদক নিপুন। তারা গণমাধ্যমের মাধ্যমে দর্শককে সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারকারা একে অপরের প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ। তাই ছবিটির নানাদিক অবহেলিত হয়েছে।
শুধু শামীম আহমেদ রনি ছবিটি নির্মাণ করতে তারকাদের সহযোগিতা এবং নানা সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন। তার একটি দৃশ্যে মাহির ঘুমঘুম চোখ দরকার ছিল। মাহি না ঘুমিয়ে পরিচালককে দৃশ্যের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য সহযোগিতা করেছেন বলে জানালেন পরিচালক। মাহিও বলেছেন, ‘ছবির মতো ছবি হলে এবং মনের মতো চরিত্র হলে পরিশ্রম করতে সমস্যা নেই।’ এ ছবিতে জুটি বেঁধেছেন সাইমন ও মাহি। এই জুটি ‘পোড়ামন’ নামে একটি সফল ছবিতে কাজ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই ছবিটিও সফল হতে পারে তারা আশা করছেন।
ছবির গল্পটি অনেকটা মনস্তাত্ত্বিক ধরনের। সংবাদ সম্মেলনে সাইমনকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল। এর কারণ হলো দীর্ঘ চার বছর পর সাইমনের কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। সবসময়ই সব সিনেমার প্রচারে সরব থাকা নায়ক সাইমন এবার নিজের সিনেমা নিয়ে সরব। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার এ মুহূর্তে আটটি ছবি সেন্সর হয়ে আছে। এর মধ্যে এটি অন্যতম ছবি, যা নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী।’ তিনি বলেন, ‘এ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর অনেকেই আমাকে এতে অভিনয় করতে মানা করেছিলেন।
তাদের যুক্তি ছিল, এ ছবিতে হিরোইজম দেখানোর জায়গা নেই। কিন্তু আমি বলেছিলাম, আমি হিরোইজম দেখাতে চাই না, অভিনয়ের জায়গা আছে কি না সেটা চাই।’ সংবাদ সম্মেলনে নায়িকা মাহি ‘লাইভ’- এ কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে টানা দুই দিন দুই রাত না ঘুমিয়ে থেকেছেন। তার এ কথাকে সমর্থন দিয়ে একজন অভিনেত্রী হিসেবে মাহির পরিশ্রমের প্রশংসা করেন পরিচালক রনি।
তিনি বলেন, ‘মাহিকে এ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে শর্ত দেওয়া ছিল ঘুমানো যাবে না, সে কিন্তু দুদিন না ঘুমিয়ে কাজ করেছে। কারণ না ঘুমানোর ফলে মানুষের চেহারা যেরকম হয়, সেরকম দরকার ছিল আমাদের। মাহি তার সর্বোচ্চ ডেডিকেশন দিয়েছে। আমি বলব মাহি, সাইমন ও আদর আজাদ সবাই, তাদের সর্বোচ্চটা দিয়েছে এই ছবিতে।’ শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে মাহি বলেন, ‘শুটিংয়ের জায়গাটাকে পলিথিন দিয়ে এমনভাবে আইসোলেটেড করা হয়েছিল, যাতে আমরা নিঃশ্বাস নিতে না পারি। বেশ কষ্ট করে আমরা কাজটা করেছি। দুদিন ঠিকঠাক ঘুমাতে পারি নাই। টানা শুটিং করেছি।