প্রচারে গুরুত্ব দিচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতারা
ছবি বাজারজাত করার ক্ষেত্রে প্রচার যে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা কিছুটা দেরিতে হলেও বুঝতে শুরু করেছেন বলে বললেন একজন নির্মাতা। কারণ প্রযোজক উল্লেখযোগ্য অংকের অর্থ লগ্নী করে একটি ছবি নির্মাণ করেন। কিন্তু দর্শক জানে না ছবিটি কোথায়, কখন মুক্তি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’ প্রমাণ করেছে প্রচার কোনো না কোনোভাবে দর্শককে সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনছে। এ সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত ‘লাইভ’ ছবিটি মুক্তির দু’দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
কিন্তু তখন আর সময় কোথায়। সংবাদ সম্মেলন ভালোভাবে কাজে লাগানোর সময়ও দেওয়া হয়নি গণমাধ্যমকর্মীদের। এর আগে চিত্রামোদী মহলের কেউ ছবিটির নামও শোনেননি। সুতরাং ছবির ভাগ্যে যা ঘটার তাই ঘটছে। এর আগে তিনি ‘বিক্ষোভ’ নাম যে ছবিটি গণমাধ্যমকর্মীদের দেখানো হয়েছে। কেন দেখানো হয়েছে তার তাৎপর্য বুঝা যায়নি।
আগামী শুক্রবার মুক্তি পাবে ‘বীরত্ব’ ছবিটি। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন সাইদুল ইসলাম রানা। তিনি মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ ছবির একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া। এ ছবিটির মাধ্যমে তিনি অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন। এখন তারকারা আসেন নীরবে, হারিয়েও যান নীরবে। এর কোনো অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় না। শাবনাজ, মৌসুমী, শাবনূর, পপি, পূর্ণিমারা গণমাধ্যমের কল্যাণে ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই তারকা হয়ে গেছেন। স্বভাবতই ছবি নিয়ে তাদের প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল দর্শকের।
কিন্তু এখন যারা আসছেন তাদের কেউ কেউ মনে করেন, তাদেরকে গণমাধ্যমই খুঁজে নেবে। কিন্তু এখন গণমাধ্যমের পরিসর ব্যাপক। একজন নবাগত চাইলে খুব কম সসময়ের মধ্যে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে উঠতে পারেন, যা আগের তারকারা পাননি। বলতে গেলে তিনটি ছবি মুক্তি পাওয়ার পর একটি সাপ্তাহিকে প্রথম নিউজ হয় চিত্রনায়ক রাজ্জাকের।
এই নিয়ে তার মধ্যে একটা আফসোসও ছিল। তৎকালীন তারকাদের আগ্রহ থাকলেও গণমাধ্যমকর্মীদের নাগাল পেয়েছেন কমই। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি নির্মাতাদের অনুকূলে হওয়া সত্ত্বেও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তাদের একটা অলিখিত দূরত্ব থাকে। সে দূরত্ব কমতে শুরু করেছে এখন।