ছবি বানাতে পরিচিত মুখ লাগে, বলেন ‘হৃদিতা’ ছবির নির্মাতা
আনিসুল হকের গল্প নিয়ে অনুদানের অর্থ সহযোগিতায় ‘হৃদিতা’ নির্মাণ করেছেন ইস্পাহানি আরিফ জাহান। ছবিটি মুক্তির প্রথম দিনে তিনি গিয়েছিলেন রাজধানীর সোনি সিনেমা হলে। সেখানে তখন প্রদর্শিত হচ্ছিল ‘হৃদিতা’ ও ‘হাওয়া’।
তিনি বলেন, ‘কিছু মহিলা এসেছিলেন ‘হাওয়া’ ছবিটি দেখবেন বলে। কিন্তু টিকিট পেলেন না। তারপর তারা জানতে চান আর কি ছবি চলছে। একজন জবাব দিলেন ‘হৃদিতা’।
তাদের পরের প্রশ্ন, ছবিতে কে কে আছে। প্রথমেই হল স্টাফ তাদেরকে পূজা চেরীর নাম বলেন। তারপর বললেন অন্যদের নাম। তারা ‘চিনি না’ বলে চলে গেলেন। আমি তখনই অনুভব করলাম ছবি বানাতে হলে সত্যিকার অর্থেই পরিচিত মুখ লাগে।’ পূজা চেরী শিশু শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করছেন। এখন তিনি নায়িকা হয়েছেন। কিন্তু দর্শকের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। গণমাধ্যমকর্মীদের অনেকেই তাকে চেনেন না। তাকে নিয়ে ইদানিং যে দু’চার কথা হচ্ছে, সেটা সুখকর নয়। একজন নায়ককে জড়িয়ে তাকে নিয়ে নানা কথা রটছে।
তার জবাবে তিনি যা বলছেন, তা কারো কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। পূজা চেরী অনেক ছবিতে অভিনয় করেও দর্শকের কাছে এখনো নবাগত রয়ে গেছেন। একেবারে নবাগত যারা তাদের তাহলে কি অবস্থা হতে পারে? এহতেশাম, মোস্তাফিজ, সুভাষ দত্তরা প্রতি ছবিতেই নতুনদের নিয়ে আসতেন। তাদের গল্পও ছিল মৌলিক এবং ছবি হতো সুনির্মিত। এছাড়া নবাগতকে এনেই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন।
এখন যারা নতুন চলচ্চিত্রে আসছেন তারা মনে করেন, নিজেদের ফেসবুক বা ইউটিউব প্ল্যাটফর্মই তাদের পরিচিতির জন্য যথেষ্ট। ভিউ, লাইককে পুঁজি করে তারা মিডিয়াতে পদার্পণ করেন। তাদের এখন আর গণমাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। নিজের ঢাক নিজেরা পিটিয়েই সন্তুষ্ট থাকেন তারা। তার ফল যে শূন্যের কোঠায় সেটা ছবিগুলোর ব্যবসায়িক বিপর্যয় থেকেই বুঝা যাচ্ছে। নবাগতদের দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে নির্মাতাদেরই। ৎ
এনবিএস/ওডে/সি


