‘সুশান্তের চোখে ঘুষির আঘাতের দাগ ছিল’, ফের বিস্ফোরক দাবি ওই মর্গ কর্মীর
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করছেন মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্গকর্মী (Mortuary staff) রূপকুমার শাহ (RoopKumar Shah)। ২৬ ডিসেম্বর তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছিল। আর আজ, ২৭ ডিসেম্বর ফের বোমা ফাটালেন। তিনি দাবি করেন, সুশান্তের চোখে ঘুষির দাগ ছিল।
এদিন এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রূপকুমার শাহ বললেন, ‘সুশান্তের চোখে কারও ঘুষির আঘাতের দাগ ছিল। মনে হয় কেউ খুন করার আগে ওর চোখ লক্ষ্য করে ঘুষি মেরেছিল। মর্গে ওঁর দেহ দেখার পর আমার এটাই মনে হয়েছিল।’
এখানেই থামেননি রূপকুমার। এরপর তিনি বলেন, ‘সুশান্তের শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওঁর হাড়ও ভেঙে গিয়েছিল। আমি আমার সিনিয়রদের সেকথা বোঝানোর চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমায় নিজের কাজের বাইরে অন্য বিষয়ে কথা বলতে বারণ করে দেন। আমি ওই ময়নাতদন্ত দলেরই একজন ছিলাম। কিন্তু সেইসময় টিমের হেড কে ছিলেন, তা মনে নেই।’
এদিকে মঙ্গলবার ওই মর্গকর্মীর নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে মোদী ও শাহের কাছে আর্জি জানান সুশান্তের বোন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, ‘যদি ওই মর্গকর্মীর কথায় সামান্য সত্যতা থাকে তো আমরা সিবিআইকে অনুরোধ করব যাতে এটা গভীরভাবে দেখা হয়। আমরা সবসময় বিশ্বাস করি সিবিআই সুষ্ঠু তদন্ত করবে।’
উল্লেখ্য, সোমবার ওই সাক্ষাৎকারে রূপকুমার শাহ দাবি করেন, ‘অভিনেতার দেহে ও গলাতে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।’ তিনি বলেন, ‘যেদিনের ঘটনা সেদিন কুপার হাসপাতালে পাঁচটি দেহ আসে ময়নাতদন্তের জন্য। তার মধ্যে একটি ছিল ভিভিআইপি। সেই দেহই ছিল সুশান্ত সিংয়ের। তাঁর দেহে ও গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমনকী গোটা ময়নাতদন্তের ভিডিও করার কথা থাকলেও শেষে তা হয়নি। হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তারা জানান ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন নেই।’
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে