গায়ক, গীতিকার ডেভিড ক্রসবি মারা গেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি গায়ক, গীতিকার ও গিটারিস্ট ডেভিড ক্রসবি মারা গেছেন। ডেভিড ক্রসবির বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।১৯৮৭ সালে তিনি জান ড্যান্সকে বিয়ে করেন। তাদের এক পুত্রসন্তান রয়েছে।

জীবনের একটা সময়ে এসে মাদকে জড়িয়ে পড়েন ডেভিড ক্রসবি, ১৯৯৬ সালে মাস পাঁচেক কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে। শরীরে নানা রোগ দানা বাঁধতে থাকে। কারাগারে যাওয়ার আগেই তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হয়েছিল। সঙ্গে হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি।

গত শতকের ষাটের দশকের আলোচিত দুই ব্যান্ড ‘দ্য বার্ডস’ ও ‘ক্রসবি, স্টিলস অ্যান্ড ন্যাশ’এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। প্রায় সাত দশকের ক্যারিয়ারে ব্যান্ডের পাশাপাশি একক গানও প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে আলোচিত ‘এইট মাইলস হাই’, ‘উডেন শিপস’, ‘অলমোস্ট কাট মাই হেয়ার’এর মতো গানের সহলেখক ছিলেন তিনি। ‘দ্য বার্ডস’ ও ‘ক্রসবি, স্টিলস অ্যান্ড ন্যাশ’-ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে গানগুলো লিখেছেন তিনি।

১৯৪১ সালের ১৪ আগস্ট ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম নেওয়া ক্রসবি ষাটের দশকে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে আসেন। ১৯৬৩ সালে রজার ম্যাকগুইন ও জেনে ক্লার্কের সঙ্গে ‘দ্য বার্ডস’ গঠন করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে সেরা নতুন শিল্পী হিসেবে গ্র্যামির মনোনয়ন পেয়েছিল ব্যান্ডটি। ১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যান্ডের গান ‘টার্ন! টার্ন! টার্ন! ’বেশ আলোচিত হয়েছিল।

‘দ্য বার্ডস’-এর সদস্যদের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে ১৯৬৭ সালে ব্যান্ডটি ছেড়ে দেন ক্রসবি; এরপর গঠন করেন আরেক ব্যান্ড ‘ক্রসবি, স্টিলস অ্যান্ড ন্যাশ’। ১৯৭০ সালে ক্রসবিসহ ব্যান্ডের সদস্যরা নতুন শিল্পী হিসেবে গ্র্যামি পেয়েছিলেন। ব্যান্ডের নামে প্রকাশিত প্রথম অ্যালবাম ‘ক্রসবি, স্টিলস অ্যান্ড ন্যাশ’শ্রোতামহলে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। ১৯৭০ সালে ব্যান্ডে নেইল ইয়ং যুক্ত হওয়ার পর ব্যান্ডের নাম হয়, ‘ক্রসবি, স্টিল, ন্যাশ অ্যান্ড ইয়ং’। পরে ‘ডেজা ভ্যু’ নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করে ব্যান্ডটি।

এর ভেতর একক গানেও পাওয়া গেছে ক্রসবিকে। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ইউ আই কুড অনলি রিমেম্বার মাই নেম’ ও পরে প্রকাশিত আরেক অ্যালবাম ‘ক্রজ’ বিলবোর্ড টপ ১০০ চার্টে জায়গা করে নিয়েছিল।

এনবিএস/ওডে/সি

news