উপহারের গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে: হিরো আলম
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে উপহারের গাড়ি (মাইক্রোবাস) হস্তান্তর করেছেন হবিগঞ্জের শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান। এই উপহার গ্রহণ করে হিরো আলম বলেন, ‘উপহারের গাড়িটি আমি গ্রহণ করেছি, তবে গাড়িটি আমি নিজে ব্যবহার করবো না। অনেক অসহায় দুস্থ মানুষ আছেন, যারা দুর্ঘটনা কিংবা জরুরি রোগে আক্রান্ত হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে যেতে পারেন না। তাই এই গাড়িটিকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় হিরো আলম হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানায় ভক্তরা। পরে তিনি যান শিক্ষক মুখলিছুর রহমানের বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে হিরো আলমকে নিজের গাড়ির চাবি বুঝিয়ে দেন শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। এসময় হিরো আলমকে এক নজর দেখতে শিক্ষকের বাড়িতে ভিড় জমান শত শত গ্রামবাসী ও ভক্তরা।
শিক্ষক মুখলিছুর রহমান এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি ওয়াদা করেছিলাম, নির্বাচনে হিরো আলম জয়ী হন বা না হন পরের দিন আমার বাড়িতে আসলে আমি গাড়িটি তার হাতে তুলে দেবো। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার সমালোচনা করেছেন। এতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি সিলেটবাসীর সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে দেবো না। সম্মানের সঙ্গে আমি হিরো আলমকে গাড়িটি তুলে দিতে পেরে খুশি।
গত ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে নিজের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় ওই শিক্ষকের ৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
হিরো আলম প্রথম দিকে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি এবং যোগাযোগও করেননি। কয়েক দিন পর আবার আক্ষেপ প্রকাশ করে ভিডিও দিলে ওই শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করেন হিরো আলম। অবশেষে সেই গাড়ি আনতে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জে যান তিনি।
হিরো আলম ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকে মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হয়ে দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
এনবিএস/ওডে/সি


