হিন্দি ছবি আমদানিতে একমত চিত্রকর্মীরা
শাকিব খানের এক সময়ের অংশীদার প্রযোজক ও পরিচালক মো. ইকবাল বলেছেন, ‘সুপার স্টার আসলে কি? যিনি আড়াই বছর ক্যামেরার সামনে অনুপস্থিত তিনি কিভাবে সুপার স্টার হতে পারেন। তার জনপ্রিয়তা আছে। ভালো অভিনয় জানেন। তারপরও প্রযোজকরা তাকে ছবিতে নিতে চান না কেন সেটা আমার মাথায় ধরে না। ক’দিন পরপর শুধু লুক প্রকাশ করলে তো আর সুপার স্টার হওয়া যায় না।’
সত্যিকার অর্থেই ঢাকার চলচ্চিত্রে এখন কোনো বাজার কাটতি তারকা নেই। দিন: দ্যা ডে, হাওয়া বা পরাণ ছবির পর আর কোনো ছবি ব্যবসার মুখ দেখেনি। গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে ‘কথা দিলাম’ নামে একটি ছবি। সীমিত সংখ্যক সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি প্রদর্শনী শুরু হওয়ার দু’দিন পরই শ্রীনগরের একটি সিনেমা হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সিনেমা হল বাঁচানোর জন্য বছরে ১০টি করে হিন্দি সিনেমা আমদানির ব্যাপারে চিত্রকর্মীদের ১৯টি সংগঠন একমত হয়েছে। তবে সেটা দুই বছরের জন্য।
রোববার বিকেলে পরিচালক সমিতির দপ্তরে সংশ্নিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে এ ব্যাপারে একমত হন। প্রযোজক পরিবেশক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘কিছু শর্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে দুই বছরের জন্য আমরা একমত হয়েছি।’ তাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বছরে ১০টি হিন্দি ছবি আনা হলে যদি প্রদর্শন ক্ষেত্র বাড়ে এবং চলচ্চিত্র ব্যবসা পূর্ব স্থানে আসে তাহলে এ ব্যাপারে কোনো চিত্রকর্মীই আপত্তি করবে না। কারা এই হিন্দি ছবি আমদানি করবে, কিভাবে করবে, কোন কোন ধরনের সিনেমা হলে চলবে - সে প্রশ্নগুলো এখন সামনে আসবে। আপৎকাল কেটে যাওয়ার পর চলচ্চিত্রশিল্প কোন দিকে যাবে। সামর্থ্যবান তারকারা দেশত্যাগ করছেন। শাকিব খান, মিশা সওদাগর, অমিত হাসানরা বিদেশে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা একবারও ভাবেন না, যে শিল্প থেকে অর্থ উপার্জন করে অর্থ-সম্পদ-বিত্তবান হয়েছেন, তারা কিভাবে সংকট সময়ে এই শিল্প ত্যাগ করে যেতে চান। অমিতাভ বচ্চন এখনো চলচ্চিত্র জগত ছেড়ে যাননি। এদেশের শিল্পীরা চলচ্চিত্রশিল্পে কাজ করেছেন, কিন্তু এই শিল্পটাকে ভালোবাসতে পারেননি।
এনবিএস/ওডে/সি