কানাডায় আহত সন্তানের অবস্থা জানালেন কুমার বিশ্বজিৎ

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। ছেলের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্ত্রী নাঈমা সুলতানাসহ কানাডায় ছুটে গেছেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ।

শিল্পীর পরিবার জানায়, বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিনি কানাডার টরন্টোতে পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই নিবিড় কুমারকে দেখতে কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী নাঈমা সুলতানা ছুটে যান হাসপাতালে। সেখান থেকে সন্তানের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার খবর নেন কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে।

বৃহস্পতিবার কানাডার টরেন্টো থেকে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‌নিবিড়ের চিকিৎসার এখনো দুইটা স্টেজ আছে। সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় যদি সেই দুটি স্টেজ সুন্দরভাবে পার করে আসতে পারে, তখন বলব, শতভাগ সফল। দুইটা স্টেজের মধ্যে আছে স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার এবং জ্ঞান ফিরে পাওয়ার বিষয়টি। এর মধ্যে আজ রাতে (কানাডা সময় বুধবার দিবাগত রাত) পাকস্থলীর একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর নিবিড়ের শরীরে দুটো অস্ত্রোপচার হয়েছে। প্রথমটা মস্তিষ্কে যে রক্ত জমাট ছিল, তা বের করা হয়েছে। আর দ্বিতীয়টা পাকস্থলীতে। আরো কয়েকটা স্টেজ রয়ে গেছে। সবার কাছে ছেলের জন্য দোয়া চাই।

কুমার বিশ্বজিৎ বললেন, নিবিড়ের অবস্থা এখন অপরিবর্তিত। কোনো অবনতি নেই। কানাডার ডাউন টাউনের সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। আর নিবিড়ের সার্জারির দায়িত্ব যিনি আছেন, তিনি নিউরোর বেস্ট সার্জন।

কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। পড়াশোনার জন্য থাকেন কানাডায়। সেখানেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছেন গুরুতর আহত।  

মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় নিবিড় কুমার আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও একই দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় নিবিড় চালকের আসনে ছিলেন।

এই দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বারৈ ও আরিয়ান দীপ্তর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার নিহত শাহরিয়ার খানের বাবা শরীফ বলেন, মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুতের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। বিমানের একটি ফ্লাইটে আগামী রোববার তাদের মরদেহ দেশে আনার সম্ভাবনা আছে।

অ্যাঞ্জেলা বারৈয়ের বাবা তার মরদেহ নিতে কানাডায় আসছেন। স্থানীয় পুলিশ ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। টরন্টোর বাংলাদেশ কনসাল অফিস ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়ার পর মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। রোববার তার মরদেহ নেওয়া হতে পারে বাংলাদেশে।

এনবিএস/ওডে/সি

news