৪৩ বছর পর আবারো শুরু হচ্ছে নতুন মুখের সন্ধান

সরকারের সহযোগিতায় ১৯৮৬ সালে প্রথম নতুন মুখের সন্ধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তারই ফসল ছিল মান্না, দিতি, শেলী কাদেরসহ আরো অনেক তারকা। এরপর আরো কয়েক বার নতুন মুখের সন্ধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে উল্লেখ করার মতো কাউকে পায়নি চলচ্চিত্রশিল্প। বর্তমানে ঢাকার চলচ্চিত্রে চলছে তারকা সংকট। কোনো ছবির জন্য চরিত্রশিল্পী খুঁজে পাওয়া যায় না। তারকা সংকটের এই তীব্রতার মধ্যে সরকারি উদ্যোগ প্রশংসারই দাবি রাখে।  

রোববার চলচ্চিত্রশিল্পের ১৯টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় চলচ্চিত্র প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর কাছে আরো কয়েকটি প্রস্তাব রাখেন। তার মধ্যে একটি হলো ভারতীয় ছবি আমদানি প্রসঙ্গ। প্রযোজক পরিবেশক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘শর্ত সাপেক্ষে দুই বছরে ১৮টি ছবি আমদানির প্রস্তাব করেছি আমরা। তার মধ্যে প্রথম বছরে আসবে ১০টি এবং পরের বছর ৮টি। এসব ছবির জন্য বছরের ১২০ দিন বরাদ্দ থাকবে।’ এসময় তাদের সঙ্গে প্রদর্শক সমিতির প্রতিনিধিও ছিলেন। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য হলো প্রদর্শন ব্যবসাকে আবারো চাঙ্গা করে তোলা।

সরকার নিকট-অতীতে চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সেই বরাদ্দ থেকে মূলধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে প্রযোজকদের জন্য ঋণ হিসেবে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তবে এই ঋণ কিছুতেই অনুদানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ অনুদান ফেরতযোগ্য নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন মুখ সন্ধানের মাধ্যমে যারা পারফর্মার হিসেবে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করবেন তাদেরকে নিয়ে কারা ছবি নির্মাণ করবেন। অনুদান ও ঋণের অর্থে নির্মিত ছবিগুলোতে এসব নবাগতদের সুযোগ করে দেওয়ার একটা বাধ্যবাধকতার শর্ত জুড়ে দেওয়া যেতে পারে। তাতে পারফর্মারদের হতাশ হয়ে ঘুরতে হবে না।

চলচ্চিত্র প্রতিনিধি দল যৌথ প্রযোজনার নিয়ম-নীতি পরিবর্তনের ্প্রস্তাব দিয়ে ২০১২ সালের নীতিমালাকে ফিরিয়ে আনার বা উজ্জীবিত করার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন মন্ত্রণালয়কে।

 এনবিএস/ওডে/সি

news